স্যর গ্যারির সঙ্গে নার্স। ছবি: ফেসবুক থেকে।
প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান সেম্যুর নার্স প্রয়াত। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ভুগছিলেন। সোমবার শেষ হয়ে গেল সব লড়াই। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ওপেনার ডেসমন্ড হেইন্স ফেসবুকে পোস্ট করে নার্সের মৃত্যুসংবাদ জানান। ফেসবুকে হেইন্স লিখেছেন, ‘‘আমার কোচ, আমার মেন্টর। আমরা সবাই ওঁকে ভালবাসতাম।’’
ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে নার্সের প্রভাব এতটাই ছিল যে সবাই তাঁকেই অনুকরণ করতেন। নার্সের মতো করে সবাই কথা বলতেন। নার্সের মতো হাঁটতেন। হেইন্সও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। ডেসমন্ড হেইন্সের ক্রিকেটার হওয়ার পিছনে নার্সের বড় অবদান ছিল। সেই কথা স্বীকার করেন হেইন্স।
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন নার্স। ১৯৬০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক ঘটে তাঁর। অভিষেক ম্যাচে ৭০ এবং ১১ রান করেছিলেন নার্স। কিন্তু চোটের জন্যই ১৯৬০ সালের অস্ট্রেলিয়া ও ১৯৬৩ সালের ইংল্যান্ড সফরে ছাপ ফেলতে পারেননি তিনি। ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ড সফরে নার্স ফুল ফোটান। সেই সিরিজে পাঁচটি টেস্ট থেকে ৫০১ রান করেন নার্স। এই পারফরম্যান্সের পরেই তাঁকে ১৯৬৭ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মান দেওয়া হয়।
ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৫৮ রান করে টেস্ট কেরিয়ার শেষ করেন নার্স। তিনি ২,৫২৩ রানের মালিক। গড় ছিল ৪৭.৬০। ছ’টি শতরান ও ১০টি পঞ্চাশ করেন নার্স। ১৪১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ থেকে নার্সের সংগ্রহ ৯,৪৮৯ রান। ২৬টি শতরান করেন তিনি। ক্লোজ ইন ফিল্ডার হিসেবে দুরন্ত ছিলেন নার্স। ১১৬টি ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি। অবসর নেওয়ার পরে বার্বাডোজের নির্বাচক ও টিম ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন নার্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy