সফল: নেতাজি ইন্ডোরে বাংলার কৃতী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
১৯৮০ মস্কো অলিম্পিক্স হকির সোনার পদক নিয়ে মস্কো থেকে দিল্লি হয়ে কালিম্পংয়ের বাড়ি ফিরেছিলেন ট্রেনে, বাসে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের উদ্যোগে খেলাশ্রী প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের কৃতী ক্রীড়াবিদদের সম্মানজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই বীরবাহাদুরকেই জীবনকৃতি সম্মান দিল রাজ্য সরকার।
প্রাক্তন হকি তারকা বললেন, ‘‘হকি খেলে কোনও জাতীয় সম্মান পাইনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৬ সালে ‘বাংলার গৌরব’ সম্মান দিয়েছিল। এ বার জীবনকৃতি সম্মান পেলাম।’’ তাঁর হাতে স্মারক ও পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বীরবাহাদুর বলছিলেন, মনপ্রীত সিংহদের ভারতীয় দলও অলিম্পিক্সে পদক জিততে পারে। তিিন বললেন, ‘‘এই দলটা খুব ভাল। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে, টোকিয়ো থেকে পদক নিয়ে ফিরতেই পারে।’’
মোট ৫০জন ক্রীড়াবিদকে এ দিন সম্মানিত করা হয়। ১৬জন পেলেন খেল সম্মান। যে তালিকায় রয়েছেন, অ্যাথলিট হিমাশ্রী রায়, শুটার মেহুলি ঘোষ প্রমুখ। ২৬ জন ক্রীড়াবিদকে দেওয়া হয় বাংলার গৌরব সম্মান। সেই তালিকায় রয়েছেন, অ্যাথলেটিক্সের পিঙ্কি প্রামাণিক, দাবাড়ু সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার সাগরময় সেনশর্মা, প্রাক্তন ফুটবলার অমিত ভদ্র, অমিত দাস, বাবু মানি, দীপক মণ্ডল, সন্দীপ নন্দী, প্রশান্ত চক্রবর্তী, দুলাল বিশ্বাস, টেবিল টেনিসের মান্তু ঘোষেরা। ক্রীড়াগুরু হিসেবে সম্মানিত হন শুটিংয়ের জয়দীপ কর্মকার, স্মিতা চট্টোপাধ্যায় (তিরন্দাজি), অমিতাভ ঘোষ (ফুটবল), তরুণ সাহা (অ্যাথলেটিক্স), বিশ্বনাথ ঘোষ (কবাডি), মিহির ঘোষ, ভারতী ঘোষ (টেবিল টেনিস)। তাঁরা পেলেন এক লক্ষ টাকা ও স্মারক। খেলসম্মান প্রাপকেরা পান ৫০ হাজার টাকা ও স্মারক। রাজ্য সরকারের সম্মান না পেয়ে হতাশ বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার ইন্দুভূষণ রায় ফেসবুকে লেখেন, ‘‘রঞ্জিজয়ী বাংলা দলের সদস্য ছিলাম। দু’বার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে খেলেছি। বুঝতে পারছি না, পুরস্কার পাওয়ার মাপকাঠি কী।’’ পশ্চিমবঙ্গ রাইফেল সংস্থা বিবৃতি দিয়েছে, জয়শ্রী দাসের সাম্প্রতিক সময়ে তেমন সাফল্যই নেই। ভগীরথ সামুই কোনও দিন বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেননি। গত বছর ঝাড়খণ্ড স্টেট শুটিং প্রোমোশন সোসাইটির কোচিং পদ হারান যৌন হেনস্তার অভিযোগে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চাই বাংলার ক্রীড়াজগৎ সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিক। বাংলার তিন প্রধানই আইএসএলে খেলুক। খেলা কখনও ধর্মীয় ভেদাভেদ করে না।’’ রাজ্যের সব প্রাক্তন খেলোয়াড়ের জন্য এক হাজার টাকার পেনশন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy