বজরং, সাক্ষীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কীর্তি আজ়াদ। —ফাইল ছবি।
কুস্তিগিরদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের অধিকাংশ সদস্য। সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগট, বজরং পুনিয়াদের পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে না দেওয়ার অনুরোধও করেছেন কপিল দেব, সুনীল গাওস্কররা। সেই দলের অন্যতম সদস্য কীর্তি আজ়াদ আক্রমণের সুর চড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।
’৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের অলরাউন্ডার প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লোকসভায় তিন বার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। আজ়াদ বিস্মিত কুস্তিগিরদের আন্দোলনে কোনও কোনও মহল থেকে রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা দেখে। আবার সাক্ষী, বজরংদের পদক ভাসিয়ের দেওয়ার সিদ্ধান্তও মানতে পারছেন না তিনি। আজ়াদ বলেছেন, ‘‘১৯৮৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। আমরা তাঁর জন্য বিশ্বকাপ জিতিনি। দেখে অবাক লাগছে, অনেকে কুস্তিগিরদের আন্দোলনের মধ্যে রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছেন দেখে। ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগির হিসাবে সাক্ষী রিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিল। সাক্ষীও নিশ্চয়ই নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপির জন্য পদক জেতেনি।’’ প্রাক্তন ক্রিকেটার আরও বলেছেন, ‘‘পদক এবং পদকজয়ীদের সঙ্গে ছবি তুলতে পছন্দ করেন মোদী। মনোহরলাল খট্টর সাক্ষীকে হরিয়ানায় ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের প্রচার দূত করেছিলেন। অথচ দেখুন তাঁরা সবাই চুপ করে রয়েছেন। সমাজমাধ্যমেও কোনও বার্তা দেননি। ছবি তোলার সময় সকলকে বেশ খুশি দেখায়। এখন সবাই দূরত্ব বজায় রাখায় চেষ্টা করছেন। তাই চুপ করে রয়েছেন।’’
’৮৩-র বিশ্বজয়ী দলের সতীর্থদের সঙ্গে অবশ্য একমত নন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রজার বিন্নী। তিনি বলেছেন, “কুস্তিগিরদের আন্দোলন নিয়ে আমি কোনও রকম বার্তা দিইনি। বিশ্বাস করি যে আধিকারিকেরা কাজ করছেন এই সমস্যা সমাধান করার লক্ষ্যে। খেলার সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলা উচিত নয়।” বিশ্বকাপজয়ী দলের বার্তায় সই না করার কথাও জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy