ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রজার বিন্নী। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দল আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের পাশে থাকলেও নেই রজার বিন্নী। তিনি ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হলেও কপিল দেবদের সঙ্গে একমত নন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। বিন্নী জানিয়ে দিলেন যে, তিনি ওই বার্তায় সই করেননি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে। সেই কারণে অনেকেই মনে করেন, সরাসরি না হলেও পরোক্ষ ভাবে বিসিসিআইয়ে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। আর কুস্তিগিরদের অভিযোগ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে। তিনি কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি এবং বিজেপির সাংসদ। কুস্তিগিরদের অভিযোগ, সরকার পক্ষের লোক হওয়ার কারণেই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিন্নী বোর্ডের সভাপতি হওয়ার কারণে তাঁর পক্ষে আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের পাশে থাকা কঠিন বলেই মনে করছেন অনেকে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিন্নী বলেন, “কুস্তিগিরদের আন্দোলন নিয়ে আমি কোনও রকম বার্তা দিইনি। বিশ্বাস করি যে আধিকারিকেরা কাজ করছেন এই সমস্যা সমাধান করার লক্ষ্যে। খেলার সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলা উচিত নয়।”
১৯৮৩ সালের সদস্যেরা শুক্রবার একটি বার্তা দেন। দিল্লি পুলিশ যে ভাবে কুস্তিগিরদের জোর করে আটকে দিয়েছিল, সেটা মেনে নিতে পারেননি কপিল দেবরা। সেই বার্তায় বিশ্বকাপজয়ী সদস্যেরা বলেন, “আমাদের দেশের কুস্তিগিরদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা দেখে আমরা মর্মাহত। বহু কষ্টে অর্জিত পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার যে ভাবনা কুস্তিগিরদের মধ্যে এসেছে সেটা দেখে আমরা চিন্তিত। বহু দিনের পরিশ্রমের পর পদক জিতেছে তারা। অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে এই পদক পেতে। আমরা অনুরোধ করব এমন কোনও বড় পদক্ষেপ যেন তারা না করে। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি বিচার পাবে কুস্তিগিরেরা। দেশের আইনের উপর ভরসা রাখুক তারা।”
১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে ট্রফি জেতে ভারত। সেই দলের সদস্য ছিলেন সুনীল গাওস্কর, রজার বিন্নীরা। ছিলেন মহিন্দর অমরনাথ, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, সইদ কিরমানি, যশপাল শর্মা, মদন লাল, বলবিন্দর সিংহ সাধু, সন্দীপ পাটিল, কীর্তি আজাদরা। সেই বছর ২৫ জুন লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তাঁরা। বাকিরা এখনও পর্যন্ত আপত্তি না জানালেও বিন্নী জানিয়ে দিলেন তিনি ওই বার্তার সঙ্গে সহমত নন।
কুস্তিগিরদের অভিযোগ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ২৮ এপ্রিল দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্রিজভূষণ মেয়েদের নিগ্রহ করেছেন। বিনিময়ে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। তিনি মেয়েদের শরীর অস্বস্তিকর ভাবে ছুঁয়েছেন বলে এফআইআরে লেখা হয়েছে। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ৩৫৪, ৩৫৪এ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একটি এফআইআরে বলা হয়েছে ছ’জন প্রাপ্তবয়স্ক কুস্তিগিরের কথা। দ্বিতীয়টিতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কুস্তিগিরের বাবা অভিযোগ করেছেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy