দিয়েগো ফোরলান
(মুম্বই সিটি এফসি)
সাইত্রিশ বছরের এই ফুটবলার লুসিওর পর টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বয়স্ক মার্কি। গত আট বছরে আট বার চোট-আঘাত ভুগিয়েছে তাঁকে। যার মধ্যে রয়েছে গোড়ালি ও পেশির চোট। কিন্তু গত বছরের নভেম্বরের পর সে ভাবে চোটের শিকার হতে হয়নি। দু’পায়েই খেলতে পারায় ফোরলানের হ্যামস্ট্রিং ও কাফ মাসলে চাপ কম পড়ে। অফুরন্ত দম। গোটা মাঠ দৌড়ে খেলেন। আইএসএলে চমক দেখালে অবাক হব না।
হেল্ডার পস্টিগা
(আটলেটিকো দে কলকাতা)
গত সাত বছরে পায়ের পেশি (কোয়াড্রিসেপস, হ্যামস্ট্রিং), হাঁটু ও কাঁধের সমস্যায় একাধিক বার মাঠের বাইরে যেতে হয়েছে। অতীত রেকর্ড অনুযায়ী, ম্যাচের শেষের দিকে চোট পাওয়ার প্রবণতা বেশি। এক বার ইনজুরি হলে ফিট হতে সময় নেন। এ বার নতুন কোচ, নতুন মাঠ এবং নতুন ট্যাকটিক্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া চ্যালেঞ্জ কলকাতার এই পর্তুগিজ মার্কির কাছে। আশার কথা এটাই, গত দশ মাসে নতুন করে চোট পাননি। তাই এ বার গত বছরের না খেলার আক্ষেপ মিটিয়ে নিতে মরিয়া থাকবেন।
লুসিও
(এফসি গোয়া)
টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বয়স্ক মার্কি। লম্বা লম্বা পা ফেলে গ্যালপিং রান ওঁর খেলায় রয়েছে। ফলে গোড়ালি এবং হাঁটুতে চোটের আশঙ্কা থেকে যায়। অতীতে এই দুই জায়গার চোটই ওঁকে ভুগিয়েছে। এমনকী লিগামেন্ট, অ্যাচিলিস টেন্ডন, থাই ও কাফ মাসলের চোটও রয়েছে। এ দেশে ডিহাইড্রেশনের সমস্যার ভয় আছে।
অ্যারন হিউজ
(কেরল ব্লাস্টার্স)
কেরল ব্লাস্টার্সের এই ডিফেন্ডারের বয়স ৩৬ হলেও ফিটনেসে অনেকটাই ভাল জায়গায়। একটানা খেলে যেতে পারেন। ছ’ফুট উচ্চতা, ওজনও মানানসই। কিন্তু চোট-আঘাতে ভুগেছেন কম। পেশির চোট সে ভাবে হয়নি। অল্প চোটে ভুগেছেন গোড়ালি নিয়ে। তাও খুব গুরুতর নয়। শরীরের ওজনও উচ্চতার সঙ্গে মানানসই। খেলার মধ্যে থাকায় ম্যাচ ফিটনেসে এগিয়ে।
জন আর্নে রিসে
(চেন্নাইয়ান)
২০১০-১১ মরসুমে হাঁটুর চোটে বেশ কয়েক দিন আর ২০১১-১২ তে কুঁচকির চোটে ভুগেছেন। এ বারই দিল্লি ডায়ানামোস থেকে এসেছেন। ছ’ ফুট এক ইঞ্চির এই ফুটবলারকে বেশ চোট-প্রবণ বলা যায়। আর চোট পেলে সারতেও সময় নেয়। জন আর্নে রিসের শরীরের পেশির গঠনই এর জন্য মূলত দায়ী। আইএসএলে পেশির চোট এড়িয়ে চলাটাই চ্যালেঞ্জ এই মার্কি মিডিওর। ডিহাইড্রেশন সমস্যায় ভুগতেই পারেন। ট্রেনিংয়ে হ্যামস্ট্রিং ও কাফ মাসলের জোর বাড়ানোর ট্রেনিং করলে ভাল খেলবেন।
ফ্লোরেন্ট মালৌদা
(দিল্লি ডায়ানামোস)
মালৌদাও চোট প্রবণ। গত দশ বছরে হাঁটু, অ্যাচিলিস টেন্ডন, পায়ের পাতা, পেশিতন্তু ছিঁড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা ভুগিয়েছে। মাঝমাঠে ওঁর কাছ থেকে গতিময় ফুটবল পাওয়ার সম্ভাবনা কম। উচ্চতা কম। ফিটনেস লেভেলও পড়তির দিকেই।
দিদিয়ের জোকোরা
(নর্থইস্ট ইউনাইটেড)
আইএসএলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মিডফিল্ডে ভাল খেলা আশা করাই যেতে পারে এই আইভরিয়ানের কাছে। উচ্চতা আর শরীরের ওজনের একটা তাৎপর্যপূর্ণ মেলবন্ধন রয়েছে। ২০১১-১২ তে কুঁচকির চোট ছাড়া বড় কোনও ইনজুরি নেই। গোটা ম্যাচ দৌড়ে খেলার মতো ফিট। এই আইএসএলের সবচেয়ে ফিট মার্কি ফুটবলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy