রবিবারের ম্যাচে এ রকমই ফাঁকা থাকল গ্যালারি। ছবি: সংগৃহীত।
রাজধানী দিল্লিতে এত দিন ধরে যে প্রতিযোগিতা হত, গত কয়েক বছর ধরে সেই প্রতিযোগিতাকেই নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। সেই শহরে ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ফলে ডুরান্ড কাপের আয়োজকেরা যা চাইছিলেন ঠিক সেটাই হয়েছে। তাই ফাইনালের আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চায়নি ভারতীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু এত কিছুর মধ্যে সমালোচনা পিছু ছাড়ল না। টিকিট বিক্রি নিয়ে অব্যবস্থা যদি তার মধ্যে প্রধান হয়, তা হলে ম্যাচের দিন সমর্থকদের হেনস্থাও খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না।
ডুরান্ড কাপের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছিল শুক্রবার সকালে। প্রথম দিনের শেষেই আয়োজকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, সব টিকিট শেষ। যাঁরা সকাল থেকে ময়দানের দুই প্রধানের ক্লাব তাঁবুর বাইরে জমা জলে, প্রবল বৃষ্টির মধ্যে অপেক্ষা করেছেন তাঁরা বুঝতে পারেননি এত টিকিট গেল কোথায়? দুই ক্লাবের কর্তারাও বিস্মিত হন। কিন্তু রবিবার ম্যাচ শুরুর আধ ঘণ্টা আগে দেখা গেল, স্টেডিয়ামে অর্ধেক আসনও ভর্তি হয়নি। দুপুর ১.৩০-২টো থেকে দু’দলের সমর্থকেরা ম্যাটাডোর, টেম্পোয় চড়ে যুবভারতীর দিকে রওনা দিয়েছিলেন তাঁদের সবার কাছে যে টিকিট ছিল না তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
শনিবার থেকে একটি টিকিটের জন্যে হাহাকার দেখা গিয়েছে ময়দান জুড়ে। রবিবারও তার ব্যতিক্রম নন। প্রিয় দলের জার্সি পরে স্টেডিয়ামের পাশে ঘুরঘুর করছিলেন সমর্থকেরা। আব্দার একটাই, ‘একটা টিকিট হবে?’ কারও কারও স্বপ্ন পূরণ হল। কারণ ম্যাচের দিনও স্টেডিয়ামের বাইরে আড়ালে-আবডালে দেদার কালোবাজারি দেখা গিয়েছে। ১০০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে ৫০০-৬০০, এমনকী ১০০০ টাকাতেও। অতীতে ডার্বি নিয়ে কবে সমর্থকদের মধ্যে এমন উন্মাদনা দেখা গিয়েছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না।
ডুরান্ডের তরফে এ দিন ৪০ মিনিটের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিযোগিতা ঘোষণার দিন যে ভাবে প্যারাট্রুপাররা ময়দানে নেমে এসেছিলেন, সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও একই দৃশ্য। একে একে চার জন প্যারাট্রুপার যুবভারতীর মাটিতে নামলেন।
এর পর সেনাবাহিনীর মোটরবাইক আরোহীদের কৌশল দেখা গেল। ছিল কলকাতা পুলিশের বাইক বাহিনী এবং ‘উইনার্স’ দলের সদস্যেরাও। মাঠের উপর দিয়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে উড়ে গেল চারটি হেলিকপ্টারও।
বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ যুবভারতীতে এলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেনাবাহিনীর কর্তারা তাঁকে অভ্যর্থনা জানালেন। খেলা শুরুর আগে তিনি দু’দলের খেলোয়াড়ের সঙ্গে হাত মেলালেন রাজ্যপাল। সঙ্গে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এর পর ভিভিআইপি বক্সে খেলা দেখলেন রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy