ফাইল চিত্র।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলাকে নিয়ে আতঙ্ক দূর হল। তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এর আগে অসম্পূর্ণ রিপোর্ট আসায় শুক্রবার পেপের সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করতে হয়েছিল।
সের্খিয়ো আগুয়েরোর সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নিতে ম্যান সিটির প্রতিনিধি হিসেবে পেপ বার্সেলোনায় গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর থেকেই করোনা আতঙ্ক তৈরি হয় তাঁকে নিয়ে। ইপিএলে নতুন করে করোনা স্রোত দেখা দিয়েছে। অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন, ম্যাচ বাতিল হচ্ছে। যে চারটি ম্যাচ বাতিল হয়নি তার মধ্যে ম্যান সিটি বনাম নিউক্যাসল রয়েছে।
প্রাক-ম্যাচ পরিস্থিতিতে ম্যান সিটি কোচকে নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আশঙ্কা দূর হয় রিপোর্ট নেগেটিভ আসায়। এ দিকে, করোনা নিয়ে আতঙ্কের পরিস্থিতি সামলাতে কী করণীয়, তা আলোচনা করতে ইপিএলের ক্লাবগুলি বৈঠক করবে। অ্যাস্টন ভিলা ম্যানেজার স্টিভন জেরার বলেছেন, খেলোয়াড় এবং ম্যানেজাররা নিজেদের মধ্যে আলাদা ভাবে এই সভা করবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ে সকলেই উদ্বিগ্ন।জেরার এ সব বলার পরেই ইপিএলের ষষ্ঠ ম্যাচও শনিবার বাতিল হয়ে গেল। ঘটনাচক্রে সেটা তাঁরই ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা বনাম বার্নলির খেলা। কারণ যথারীতি করোনা। ভিলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালেই তারা দলের বেশ কয়েক জন করোনা আক্রান্ত বলে জানতে পারে। যার ভিত্তিতে প্রিমিয়ার লিগ কমিটি ভিলা পার্কে খেলা বাতিল করে। অ্যাস্টন ভিলার পক্ষ থেকে অবশ্য বার্নলির কাছে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে, মাত্র দু’ঘণ্টা আগে ম্যাচ বাতিল হওয়ার জন্য।
অ্যাস্টন ভিলার ম্যাচও বাতিল হওয়ায় শনিবার ইপিএলের একটা খেলাই বাকি থাকল। সেটা মিকেল আর্তেতার আর্সেনালের সঙ্গে লিডস ইউনাইটেডের ম্যাচ। এই পর্বে ছ’টি ম্যাচ বাতিল হলেও এ বারের ইপিএলে পরিত্যক্ত খেলার মোট সংখ্যা ১০। আপাতত এই দফায় বাতিল হয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম ব্রাইটন, সাদাম্পটন বনাম ব্রেন্টফোর্ড, ওয়াটফোর্ড বনাম ক্রিস্টাল প্যালেস, ওয়েস্ট হ্যাম বনাম নরউইচ সিটি এবং রবিবারের এভার্টনের সঙ্গে লেস্টার সিটির লড়াই। তার সঙ্গে যুক্ত হল বার্নলি-অ্যাস্টন ভিলা ম্যাচও।
রবিবার নিউক্যাসল বনাম ম্যান সিটি, উলভস বনাম চেলসি ও টটেনহ্যাম বনাম লিভারপুল খেলা আছে। যেগুলি এখনও বাতিল হয়নি। প্রিমিয়ার লিগ কমিটি জানিয়েছে, বাধ্য হয়েই তারা শুরুর মাত্র দু’ঘণ্টা আগে অ্যাস্টন ভিলার খেলা বাতিল করেছে, ‘‘সকালেই আমরা অ্যাস্টন ভিলার পরিস্থিতি জানতে পারি। যার ভিত্তিতে আলাদা করে মেডিক্যাল বিভাগের পরামর্শ নেওয়া হয়। অ্যাস্টন ভিলা জানিয়েছিল, দল নামোনোর মত ফুটবলারই তাদের হাতে নেই। তাই শেষ মুহূর্তে হলেও ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি।’’
এমনিতে এ’সপ্তাহেই করোনার কারণে বার্নলির অন্য একটা খেলা বাতিল হয়। সেটা তাদের ঘরের মাঠে ওয়াটফোর্ডের সঙ্গে। আর প্রবল তুষারপাতের জন্য ২৮ নভেম্বরও তাদের সঙ্গে টটেনহ্যামের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। ব্রিটিশ ফুটবল মহলের প্রশ্ন, এত ঘনঘন ম্যাচ বাতিল হলে লিগ আদৌ কি শেষ করা যাবে? এর মধ্যে অনেকে আবার লিগ বাতিল করারও দাবি তুলেছেন। লিভারপুলের ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপ যার বিরোধিতা করে বলেছেন, তাতে ক্ষতি হবে ফুটবলেরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy