লিয়োনেল মেসি এবং নেমারের জুটি ভেঙে যেতে চলেছে? ফাইল ছবি
প্যারিস সঁ জরমঁ-য় কি লিয়োনেল মেসি এবং নেমারের জুটি ভেঙে যেতে চলেছে? সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শোনা যাচ্ছে, ক্লাবে আর নেমারকে রাখতে আগ্রহী নয় পিএসজি। তারা নাকি পরের মরসুমেই ব্রাজিলীয় তারকাকে বিক্রি করে দিতে চলেছে। ইটালির এক ওয়েবসাইটের তরফে এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
বিশ্বকাপের পর থেকে নেমারের ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্স যদি এর একটা কারণ হয়, অপর কারণ মোনাকোর কাছে হারের পর সতীর্থদের সঙ্গে বচসা। ভিটিনহা এবং হুগো একিতিকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন নেমার। ক্লাবের এক কর্তার সঙ্গে বাদানুবাদ হয় তাঁর। ব্রাজিলীয় তারকার আচরণে খুশি নয় ক্লাব। তারা মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়েই খুশি থাকতে চাইছে।
২০১৭-য় বার্সেলোনা থেকে রেকর্ড অর্থে নেমারকে সই করিয়েছিল পিএসজি। সেই সময়ে নেমারকে কিনতে পিএসজি-কে খরচ করতে হয়েছিল ২২.২ কোটি ইউরো দিয়ে কেনা হয়েছিল তাঁকে। সেই সময়ে ভারতীয় মুদ্রায় তাঁর দাম ছিল প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত ক্লাবের হয়ে ১৭১টি ম্যাচে ১১৭টি গোল ও ৭৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন। তবে বহু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চোট পেয়ে খেলতে পারেননি। তবে সম্প্রতি জীবনের সবচেয়ে খারাপ ছন্দে রয়েছেন নেমার।
ফ্রান্সের এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, মোনাকোর বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না নেমার। মাঠে খেলা চলাকালীন মাঝেমধ্যে সতীর্থদের সঙ্গে তর্ক হচ্ছিল তাঁর। দল যে একসঙ্গে খেলছে না সেটা বোঝা যাচ্ছিল। তার ফলও দেখা যায়। ১-৩ গোলে হারে পিএসজি। মোনাকোর হয়ে জোড়া গোল করেন বেন ইয়েডার। আর একটি গোল আলেকজান্ডার গোলোভিনের। পিএসজির হয়ে একমাত্র গোল করেন এমেরি।
ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন নেমার। তাঁর ফরোয়ার্ড জুটি হুগো একিটিকের সঙ্গে ঝগড়া হয় তাঁর। আর এক সতীর্থ ভিটিনহার উপরেও রাগ দেখান নেমার। বচসা গড়ায় সাজঘরেও। দলের খেলায় একটুও খুশি হতে পারেননি ক্লাবের কর্তা লুই কাম্পোস। ফুটবলাররা সাজধরে ফিরলে তাঁদের তুলোধনা করতে থাকেন তিনি। সেটা মেনে নিতে পারেননি নেমার। মালিকের সঙ্গেই বচসায় জড়ান তিনি। নেমারের সঙ্গে যোগ দেন আর এক ব্রাজিলীয় মারকুইনোসও।
তবে বিবাদ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফ গালচিয়ে। তিনি দলের খেলা নিয়ে কথা বলেছেন। গালচিয়ের কথায়, ‘‘দলের মধ্যে কোনও তাগিদ দেখা যাচ্ছিল না। তার জন্য আমরা বার বার হারছি। এটা লুকোনোর জায়গা নেই। কেন এটা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। দলের কোচ হিসাবে আমার দায়িত্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। কিন্তু হচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy