ডার্বির একটি মুহূর্ত। ছবি: এক্স।
প্রথম একাদশে তো দূর, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে মোহনবাগানের ১৮ জনের দলেও দেখতে পাওয়া গেল না হুগো বুমোসের নাম। কয়েক দিন আগেও যিনি সবুজ-মেরুনের মাঝমাঠের কারিগর ছিলেন, তিনি সুস্থ থাকা সত্ত্বেও ডার্বিতে নেই। ম্যাচের আগেই তা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। তা আরও বাড়ল ম্যাচের পরে। সাংবাদিক বৈঠকে কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসকে বুমোস নিয়ে প্রশ্ন করা হতেই থামিয়ে দেওয়া হল। বলা হল, মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের তরফে বুমোসকে নিয়ে কোনও কথা বলতে বারণ করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচ কি তা হলে খেলেই ফেললেন বুমোস? জনি কাউকোকে হঠাৎ করে শহরে নিয়ে আসা কি তারই ইঙ্গিত?
বুমোসকে নিয়ে জল্পনা থাকলেও ডার্বি ড্র করে খুশি কোচ হাবাস। ম্যাচের পরে বললেন, “আমরা ভাল খেলেছি। আমাদের বিরুদ্ধে একটা পেনাল্টি দেওয়া হয়েছে যেটা হওয়া উচিত ছিল না। এ ছাড়া অনেক গুলো সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে। তবে দল যে মানসিকতা এবং শৃঙ্খলা দেখিয়েছে তাতে আমি খুশি। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল অনেক সময় নষ্ট করেছে। মাত্র পাঁচ মিনিট (আসলে সাত মিনিট) ইনজুরি টাইম দেওয়া হল। আমার মতে অন্তত ১৪ মিনিট বা ১২ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া উচিত ছিল।”
ম্যাচের মাঝে একের পর এক ফুটবলার বদল করতে হওয়ায় তিনি সমস্যায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন হাবাস। তাঁর কথায়, “আমাকে দল বার বার বদলাতে হয়েছে। শুরুতে আনোয়ার আলি চোট পেল। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রেন্ডন হ্যামিল চোট পেল। কখনও তিন জন সেন্টার ব্যাক, কখনও দু’জন সেন্টার ব্যাকে খেলতে হয়েছে।” পরের ম্যাচে আর্মান্দো সাদিকু কার্ড সমস্যায় নেই। এ ছাড়া আনোয়ার, ব্রেন্ডন হ্যামিলকেও পাওয়া যাবে না বলে শোনা যাচ্ছে।
চার মাস পরে চোট সারিয়ে ফেরা আনোয়ারকে এ দিন প্রথম একাদশে রেখেছিলেন হাবাস। কিন্তু মাঠে মাত্র ১৩ মিনিট স্থায়ী হল তাঁর আয়ু। আনোয়ারকে কি জোর করে খেলানো হয়েছে? হাবাসের সাফ জবাব, “আনোয়ারকে অনুশীলনে দেখে ভালই লেগেছে। ১৫ দিন অনুশীলন করেছে আমাদের সঙ্গে। সেই জন্যই ওকে নামিয়েছিলাম। এখন চোট পেলে সেটা দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছু বলার নেই। পেশাদার ফুটবলে চোট-আঘাত মেনে নিতেই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy