জিততে জিততেও আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে হারতে হয়েছে। সেই ক্ষত মেটার আগেই আবার মাঠে নামছে মহমেডান। সোমবার জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে খেলা রয়েছে তাদের। তার আগে কোচ আন্দ্রে চের্নিশভের আক্ষেপ, তাঁরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন না।
ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য জামশেদপুরের থেকে ভাল প্রতিপক্ষ পেতে পারত না মহমেডান। আগের ম্যাচেই মোহনবাগানের কাছে তিন গোল খেয়েছে জামশেদপুর। টানা তিনটি ম্যাচে হেরেছে তারা। পয়েন্ট তালিকায় নবম স্থানে। শুধু তাই নয়, শেষ তিনটি ম্যাচের প্রতিটিতেই অন্তত তিনটি করে গোল খেয়েছে তারা। গত বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মাঝেও টানা চারটি ম্যাচে হেরেছিল জামশেদপুর।
মহমেডান রয়েছে ১২ নম্বরে। ইস্টবেঙ্গলের ওপরে। মাত্র একটি জয় ও দু’টি ড্র ছাড়া বাকি সব ম্যাচে হেরেছে তারা। আগের ম্যাচে সিজার মানজোকি মহমেডানকে আট মিনিটে এগিয়ে দিলেও শেষ ১০ মিনিটে দু’টি গোল খেয়ে বেঙ্গালুরুর কাছে হারে তারা। মাত্র চারটি গোল করেছে গোটা মরসুমে, যা জামশেদপুরের সমান। বাকি সব দলই এর থেকে বেশি গোল করেছে।
আরও পড়ুন:
রবিবার চেরনিশভ বলেছেন, “কয়েকটা ম্যাচে আমরা সত্যিই ভাল ফুটবল খেলেছি। প্রথম বার আইএসএল খেলা একটা দলের কাছে যা প্রত্যাশিত ছিল না। কয়েকটা ম্যাচে ভাল ফল না হওয়া সত্ত্বেও আমরা ভাল খেলেছি। ফল নিয়ে আমাদের উদ্বেগ নেই। আমরা আইএসএলে নতুন এসেছি। মরসুম শুরুর আগে আমরা সে রকম ভাল ভাবে প্রস্তুতিও নিতে পারিনি। প্রথম ম্যাচের ২৫ দিন আগে প্রস্তুতি শুরু করি। বেশি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও সুযোগ পাইনি। আমাদের ছেলেদের গুণ আছে। ওরা ভাল মানের ফুটবলার। কিন্তু ওরা একসঙ্গে বেশি দিন খেলছে না, এটা একটা বড় সমস্যা।”
কার্লোস ফ্রাঙ্কাদের কোচ আরও বলেছেন, “সদ্য আইএসএল খেলতে নামা একটা দলের পক্ষে তো দাবি করা সম্ভব নয় যে, আমরা সেরা চারে বা সেরা পাঁচে থাকব। তবু আমরা শুরুটা ভাল করেছিলাম বলে আমাদের নিয়ে প্রত্যাশা একটু বেশিই ছিল সবার। দলে ভাল, অভিজ্ঞ ফুটবলার থাকলে ছ’-সাতটা ম্যাচ ভাল খেলার পর একটা ম্যাচে খারাপ ফল হয়ে থাকে। কিন্তু একটা দলে যদি বেশির ভাগই তরুণ, অনভিজ্ঞ ফুটবলার থাকে, তা হলে সেই দলের তিন-চারটে ম্যাচ ভাল খেলার পর ছন্দপতন হতেই পারে। তা-ও আমরা চেষ্টা করছি, পরিশ্রম করছি ছন্দে ফেরার।”
নির্বাসন কাটিয়ে মহমেডান ম্যাচে ডাগআউটে ফিরছেন কোচ খালিদ জামিল। গোলখরার পিছনে তিনি স্ট্রাইকারদের দোষ দিতে চাননি। ব্যর্থতায় দায় নিজের ঘাড়েই নিয়েছেন।