জয়ের পরে উল্লাস ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফুটবলারদের। ছবি: রয়টার্স।
প্রিমিয়ার লিগের চলতি মরসুমে শুরু থেকেই ছন্দে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। প্রথম দু’ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। অন্য দিকে প্রথম ম্যাচ জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই হোঁচট খেল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। শেষ মুহূর্তের গোলে হারল তারা। প্রিমিয়ার লিগে দুই ম্যাঞ্চেস্টারের দিনটা দু’রকম গেল।
ব্রাইটনের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে খারাপ ফুটবল খেলল ম্যান ইউ। তার খেসারত দিতে হল তাদের। প্রথম থেকেই ইউনাইটেডের আক্রমণ ভাল হচ্ছিল না। উল্টে ব্রাইটন গোল করার বেশি চেষ্টা করছিল। ৩২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় তারা। গোল করেন ইউনাইটেডের প্রাক্তন ফুটবলার ড্যানি ওয়েলব্যাক। বিরতিতে পিছিয়ে সাজঘরে যায় ম্যান ইউ।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় লাল ম্যাঞ্চেস্টার। গোল করেন আমাদ দিয়ালো। দেখে মনে হচ্ছিল, খেলা ড্র হবে। কিন্তু ব্রাইটন হাল ছাড়েনি। সংযুক্তি সময়ে গোল করেন জোয়াও পেদ্রো। এই গোলের ক্ষেত্রে ইউনাইটেডের রক্ষণের খারাপ হাল প্রকাশ্যে এল। গোলের সামনে ফাঁকায় হেড করলেন পেদ্রো। তাঁর কাছে কোনও ডিফেন্ডার ছিলেন না। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইউনাইটেড। ১-২ গোলে হারে তারা।
ম্যান সিটি এই মরসুমে প্রথম বার নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নামল। অবশ্য সকলকে চমকে দিয়ে ৭ মিনিটের মাথায় প্রথমে গোল করেন ইপসুইচ টাউনের স্যামি জ়োমোডিকস। সেটাই হয়তো কাল হল ইপসুইচের। ১২ মিনিট থেকে ১৬ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল করল সিটি। প্রথমে পেনাল্টি পায় সিটি। গোল করেন আর্লিং হালান্ড। দু’মিনিট পরে গোলরক্ষকের ভুল কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় গোল করেন কেভিন দ্য ব্রুইন। তার দু’মিনিট পরে আবার দ্য ব্রুইন ও হালান্ডের যুগলবন্দিতে তৃতীয় গোল তুলে নেয় সিটি। ১৬ মিনিটেই খেলার ভাগ্য পরিষ্কার করে দেয় তারা।
বাকি সময়েও বেশ কয়েক বার গোল করার কাছে পৌঁছে যায় সিটি। দ্য ব্রুইনের একটি শট পোস্টে লেগে ফেরে। দেখে মনে হচ্ছিল, ৩-১ গোলেই খেলা শেষ হবে। যদিও ৮৮ মিনিটের মাথায় নিজের তৃতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন হালান্ড। মরসুমের দ্বিতীয় ম্যাচেই নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন নরওয়ের স্ট্রাইকার। ৪-১ গোলে ইপসুইচকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সকলের উপরে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy