লিয়োনেল মেসি। ছবি: রয়টার্স।
একটি সাধারণ ন্যাপকিন। খাওয়ার পর হাত মুছে বিনা সঙ্কোচে ফেলে দেন অনেকেই। কিন্তু সেই ন্যাপকিনেই যদি থাকে লিয়োনেল মেসির সই? বার্সেলোনার প্রাক্তন ফুটবলারের সই করা ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন বিক্রি হয়ে গেল নিলামে। দাম উঠল সাত লক্ষ ৬২ হাজার পাউন্ড বা ভারতীয় মুদ্রায় আট কোটি টাকারও বেশি।
কেন এই ন্যাপকিন এত বিখ্যাত?
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন মেসি। তার আগে বাবা জর্জের সঙ্গে একটি হোটেলে আলোচনায় বসেছিলেন বার্সেলোনার তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাচ। তখনও মেসিকে সই করানোর কাগজপত্র তৈরি হয়নি। কিন্তু মেসির প্রতিভা বুঝতে একটুও অসুবিধা হয়নি রেক্সাচের। তত দিনে মেসির নাম এ দিক-ও দিক অল্পবিস্তর ছড়িয়েও পড়েছে। কোনও মতেই এমন ফুটবলারকে সই করানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি রেক্সাচ।
সেই হোটেলের একটি ন্যাপকিনেই মেসিকে দিয়ে প্রাথমিক সই করিয়ে নেন। সেই ন্যাপকিনে লেখা বয়ান অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর ২০০০ সালে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম বার কোনও চুক্তিতে সই করেছিলেন মেসি। সেখানে রেক্সাচ ছাড়াও মিঙ্গুয়েলা এবং আর্জেন্টিনায় মেসির এজেন্ট হোরাসিয়ো গাজ্জিয়োলি ছিলেন। রেক্সাচ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মেসিকে নিজের তত্ত্বাবধানে যত্নে রাখবেন।
পরে এক সাক্ষাৎকারে রেক্সাচ জানিয়েছিলেন, হাতের কাছে আর কিছু না পেয়েই ন্যাপকিনে সই করিয়েছিলেন মেসিকে। মেসির বাবাকে রাজি করিয়েছিলেন এই বলে যে, তাঁর নাম থাকলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে এই সইয়ের।
এত দিন সেই ন্যাপকিন অ্যান্ডোরার একটি ভল্টে লুকিয়ে রাখা ছিল। ধীরে ধীরে মেসি বার্সেলোনার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠেন। বেশ কয়েক বছর হল সেই ক্লাব ছেড়েও দিয়েছেন। এত দিনে সেই ন্যাপকিন নিলামে উঠল এবং বিক্রিও হয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy