অস্কার ব্রুজ়ো। —ফাইল চিত্র।
চার ম্যাচ পর জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। শেষ তিনটি ম্যাচেই তারা হেরেছিল। শুক্রবার তাই ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে খুশি কোচ অস্কার ব্রুজ়ো। তাঁর মতে, এত দিন ভাল খেলেও হারতে হচ্ছিল। কোচ মনে করেন, ফুটবলারদের লড়াকু মানসিকতা শুক্রবার জয় এনে দেয়।
মাঝমাঠের আধিপত্যকেই এই জয়ের মূল চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করেন ব্রুজ়ো। তিনি বলেন, “এই ম্যাচের অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ। খেলার বেশির ভাগ সময়ে আমরা এই জায়গায় নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। এই নিয়ন্ত্রণই আমাদের বেশি সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করেছে। মহেশের দক্ষতায় মাঝমাঠকে আরও ভাল ভাবে কাজে লাগাতে পেরেছি। মহেশ সবচেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছে।”
কেরলের বিরুদ্ধে শুক্রবার ২০ মিনিটের মাথায় গোল করেন পিভি বিষ্ণু। ৭২ মিনিটে গোল করেন হিজাজি মাহের। শেষ মুহূর্তে কেরল একটি গোল শোধ করলেও ম্যাচ জিততে পারেনি। কোচ বলেন, “শেষ কয়েক সপ্তাহে আমরা অনেক ভুগেছি। আইএসএলের কিছু সেরা ক্লাবের বিপক্ষে ভাল লড়াই করেছি। কিন্তু পয়েন্ট পাইনি। তাই এই ম্যাচটা ছিল প্রতিরোধের পরীক্ষা। ছেলেদের লড়াকু মানসিকতা প্রশংসনীয়। দল মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
জিতলেও ম্যাচের শুরুর দিকে তাঁর দল একটু নড়বড়ে ছিল বলে মনে করছেন ব্রুজ়ো। তবে তা নিয়ে খুব চিন্তিত নন কোচ। তিনি বলেন, “হয়তো প্রথম ১০ মিনিট আমরা একটু নড়বড়ে ছিলাম। শেষ ১৫ মিনিটে কেরল তাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে আক্রমণ করছিল। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে, আমি মনে করি ছেলেরা দুর্দান্ত খেলেছে। এই ম্যাচ জিতে সত্যিই স্বস্তি পেয়েছি।”
ম্যাচের নায়ক পিভি বিষ্ণুর প্রশংসা করেন লাল-হলুদ কোচ। ব্রুজ়ো বলেন, “গত সপ্তাহে জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। সিদ্ধান্ত তাঁর হাতে। তবে বিষ্ণু নিশ্চিত ভাবেই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার দাবিদার। ও শুধু আমাদের ক্লাবের নয়, পুরো আইএসএলে অন্যতম সেরা ফুটবলার। আমরা ওর পাশে থাকব।”
ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ মুম্বই সিটির (৩১ জানুয়ারি) বিরুদ্ধে। শুক্রবার কেরলের বিরুদ্ধে জিতলেও লিগ তালিকায় উন্নতি হয়নি লাল-হলুদের। ১১ নম্বরেই রয়ে গিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy