কাতারে নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলেছেন লিয়োনেল মেসি। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে কোনও হোটেলে থাকেননি লিয়োনেল মেসি। আর্জেন্টিনা দল ছিল কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে। সেখানকার যে ঘরে মেসি থাকতেন সেটিকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই ঘরকে ছোট একটি জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক থেকে শুরু করে সেখানে আসা অতিথিরা সেই ঘর দেখতে পাবেন। মেসির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক হিতমি আল হিতমি স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘরে মেসি থাকতেন সেই ঘরে কোনও রকম বদল করা হয়নি। সেখানে আর কেউ থাকতে পারবেন না। তবে সেই ঘর দেখতে কেউ আসতেই পারেন। মেসির ব্যবহার করা অনেক জিনিস সেই ঘরে রয়েছে। সেগুলি কাতারের জন্য খুব মূল্যবান। গর্বের। তাই সেগুলি সংরক্ষণ করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দেশেই যে মেসির মতো ফুটবলার বিশ্বকাপ জিতেছেন সেটাও আমাদের কাছে গর্বের।’’
কাতারে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে বাকি সব দল হোটেলে থাকলেও আর্জেন্টিনা সেটা করেনি। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। সেখানেই একটি ঘরে মেসি থাকতেন। তাঁর সঙ্গে থাকতেন মেসির প্রাক্তন সতীর্থ সের্জিয়ো আগুয়েরো। সেই ঘরকেই জাদুঘরে পরিণত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Qatar University announced that it would transfer the room in which Argentinian player Lionel #Messi stayed during the FIFA World Cup Qatar 2022 into a small museum. #QNA pic.twitter.com/2TRavJI2qL
— Qatar News Agency (@QNAEnglish) December 27, 2022
এ দিকে বিশ্বকাপ জেতার পরে এখনই ক্লাবের হয়ে খেলতে নামবেন না মেসি। প্যারিস সঁ জরমঁর কাছে বাড়তি ছুটির আবেদন করেছেন তিনি। সেই ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। পিএসজির ম্যানেজার ক্রিস্টোফ গালটিয়ে বলেছেন, “বিশ্বকাপের আনন্দ উদ্যাপন করার জন্য মেসিকে আর্জেন্টিনা যেতেই হত। সেই কারণে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মেসিকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে মেসি দলে যোগ দেবে ২ বা ৩ জানুয়ারি। তার পর ১৩-১৪ দিন সময় লাগবে মেসির আবার ম্যাচ ফিট হতে।”
পিএসজির বাকি সদস্যরা যদিও দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা বুধবারের ম্যাচে খেলার জন্য তৈরিও হয়ে গিয়েছেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন মেসি এবং এমবাপে। তাঁদের দেশ আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের ফাইনালে শেষ পর্যন্ত জেতেন মেসিরা। ফাইনালে মেসি দু’টি গোল করেন। এমবাপে হ্যাটট্রিক করেন। তাঁদের সেই লড়াই ওখানেই শেষ বলে মনে করেন গালটিয়ে। তিনি বলেন, “সব কিছুর মধ্যে মেসি এবং এমবাপের সম্পর্ককে টেনে আনার প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপ হারার পরেও এমবাপে যথেষ্ট স্বাভাবিক আছে। বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। এমবাপেও হতাশ ছিল। সেটা কী ভাবে কাটিয়ে উঠতে হবে, তা এমবাপে জানে। মেসিকে শুভেচ্ছা জানাতেও এমবাপের কোনও বাধা নেই। ক্লাবের জন্য এটা খুব ভাল দিক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy