Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Messi-Martinez

বিশ্বকাপ ফাইনালে মার্তিনেসের কীর্তি দেখে হতবাক মেসি! মাঠে কী করেছিলেন লিয়ো

বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল এমিলিয়ানো মার্তিনেসের হাত। সেই ঘটনা দেখে মাঠেই চমকে উঠেছিলেন লিয়োনেল মেসি।

File picture of Lionel Messi and Emiliano Martinez

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে প্রধান দুই ফুটবলার। মার্তনেসের কীর্তি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন মেসি নিজেই। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৪
Share: Save:

কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে রান্ডাল কোলো মুয়ানির জোরালো শট বাঁচিয়ে আর্জেন্টিনার হার বাঁচিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। পরে টাইব্রেকারেও একটি পেনাল্টি বাঁচান তিনি। বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। মাঠে মার্তিনেসের সেই সেভ দেখে চমকে গিয়েছিলেন মেসি।

সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়েছে নেটমাধ্যমে। সেখানে আলাদা আলাদা ভাবে মেসি ও মার্তিনেসকে দেখানো হয়েছে। ঘটনাটি যখন ঘটছিল তখন হাফলাইনের কাছে ছিলেন মেসি। তিনি দেখেন বল পেয়ে গিয়েছেন কোলো মুয়ানি। হঠাৎ থমকে যান মেসি। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়েন। হঠাৎ করেই হয়তো তাঁর মনে হারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু মার্তিনেস সেই বল বাঁচিয়ে দেওয়ার পরে একটু চমকে গেলেও খুব বেশি প্রতিক্রিয়া মেসির চোখেমুখে ধরা পড়েনি। উল্টে প্রতি আক্রমণ তৈরি করতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। হতে পারে খেলার মধ্যে মেসি এতটাই ঢুকে পড়েছিলেন যে তাঁর কাছে অন্য কোনও অভিব্যক্তি দেখা যায়নি।

মার্তিনেসের সেই সেভ মনে আছে কোলো মুয়ানিরও। ঘুমোতে পারছেন না তিনি। ফরাসি ফুটবলার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘নিজেকে অপরাধী মনে হয়। সেই সময় আমার মনে হয়েছিল জোরে শট মারতে। আমি প্রথম পোস্টে মেরেছিলাম। মার্তিনেস বাঁচিয়ে দিয়েছিল।’’ অন্য অনেক বিকল্পও তাঁর কাছে ছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ফরাসি ফুটবলার। বলেছেন, ‘‘আমি মার্তিনেসের মাথার উপর দিয়ে তুলে দিতে পারতাম। বা বাঁ দিকে অরক্ষিত এমবাপেকে বলটা দিতে পারতাম। কিন্তু সেই সময় ওকে দেখতে পাইনি। যেটা মনে হয়েছে সেটাই করেছি। এখনও ঘুমের মধ্যে সেই শট দেখতে পাই। দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায়। এটা সারা জীবন আমার মন ও মস্তিষ্কে থেকে যাবে।’’

ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে প্রথম ৭০ মিনিট দাপট দেখিয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসি ও দি মারিয়ার গোলে ২-০ এগিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু কোলোমুয়ানি, কামাভিঙ্গা ও কিংসলে কোম্যান নামার পরে খেলার ছবিটা বদলায়। দু’মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করেন এমবাপে। অতিরিক্ত সময়ে মেসি আবার আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলে আবার সমতা ফেরান এমবাপে। শেষ মুহূর্তে কোলোমুয়ানি সুযোগ নষ্ট করেন। তার খেসারত দিতে হয় ফ্রান্সকে। টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে মেসির আর্জেন্টিনা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy