জুটি: (বাঁ দিকে) লিয়োকে পেয়ে তৃপ্ত বেকহ্যাম (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে ইন্টার মায়ামিতে। নতুন ভাবে ফুটবল নিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের অন্যতম আয়োজক দেশ আমেরিকায়। কিন্তু তারই মধ্যে লিয়োনেল মেসি। জানিয়েছেন, মায়ামিতে খেলতে আসার আগে তিনি সৌদি প্রো লিগেও খেলার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডেভিড বেকহ্যামের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেননি বলেই চলে আসেন ইন্টার মায়ামিতে।
৩৬ বছরের মেসি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমার যা বয়স, তাতে হাতের সামনে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা খোলা ছিল। এই সত্যটা অস্বীকার করব না।’’ যোগ করেন, ‘‘তবে সমস্ত সম্ভাবনা কতটা বাস্তবসম্মত অথবা আমি তাতে কতটা উপকৃত হতে পারি, সেটা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
যোগ করেন, ‘‘প্যারিস সঁ জরমঁ ছেড়ে মায়ামিতে আসার আগেও আমি সমস্ত ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে এখানে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’ আরও বলেছেন, ‘‘আমার প্রথম পছন্দ ছিল বার্সেলোনায় প্রত্যাবর্তন। কিন্তু সেটা এখনই সম্ভব নয় বলে তা নিয়ে বেশি ভাবিনি। তার পরে সৌদি প্রো লিগেও খেলব বলে অনেকটা সময় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছিলাম।’’
কেন সৌদি প্রো লিগকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, তা-ও ব্যাখ্যা করেন মেসি। তিনি বলেছেন, ‘‘সৌদি আরব দেশটা আমার কাছে অজানা নয়। ওরা কিন্তু দারুণ ভাবে ফুটবল নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সৌদি প্রো লিগ খুব গুরুত্বপূর্ণ লিগ হিসেবে উঠে আসবে।’’ যোগ করেন, ‘‘শেষের দিকে সৌদি প্রো লিগ অথবা মেজর লিগ সকার, কোথায় খেলা উচিত তা ভাবতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। দুটো লিগই সমান আকর্ষণীয়।’’
আর্জেন্টিনীয় মহাতারকা আরও বলেছেন, ‘‘আমি সৌদি আরবের পর্যটন দূত, ফলে সেই দেশটা আমাকে শুরু থেকে খুব আকর্ষণ করেছে। তা ছাড়া সৌদির পরিবেশটা আমার কাছে খুব শান্তিপূর্ণ বলেই মনে হয়েছে। তার উপরে ইউরোপের অনেক নামী ফুটবলার সৌদি প্রো লিগে খেলে বলে আমার মনে হয়েছিল, ওখানেও নিজেকে যাচাই করা যেতে পারে। কিন্তু পরে পরিস্থিতি পাল্টে গেল।’’
মেসি স্বীকার করেছেন, প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ডেভিড বেকহ্যামের অনুরোধ ফেলতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘ওর সঙ্গে আমার পরিচয় বহুদিনের। কিন্তু এমন একটা প্রস্তাব পেতে পারি, তা ভাবতে পারিনি। ধীরে ধীরে কথাবার্তা শুরু হয়। ডেভিডের স্ত্রী ভিক্টোরিয়াও এই ব্যাপারে খুব উৎসাহী ছিল। আমিও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এমএলএসে খেলার বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করি। একটা সময়ের পরে মনে হল, বেকহ্যামের অনুরোধকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা আমার নেই।’’
প্রসঙ্গ উঠেছে কাতার বিশ্বকাপ নিয়েও। মেসি বলেন, ‘‘আমাদের এই তারুণ্যে ভরা দলটার প্রতি কারও ভরসাই ছিল না। আর্জেন্টিনার মানুষই সে ভাবে আমাদের বিশ্বাস করতে পারেননি। আমি সকলকে বলেছিলাম, মাঠে নেমে এই যাবতীয় ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করতে হবে। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, ওরা আমার কথা রেখেছে। দেশকে দিয়েছে বিশ্বকাপ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy