সারা দিন চিৎকারে বিরক্ত মেসি উচ্ছেদ করলেন বার্সেলোনার প্রতিবেশী পরিবারকে। ফাইল ছবি।
বার বার অনুরোধ করেও মেটেনি সমস্যা। প্রতিবেশীদের চিৎকার, চেঁচামেচি থেকে বাঁচতে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে দিলেন লিয়োনেল মেসি। তবে অন্যায় ভাবে নয়। সমস্যা তৈরি করা প্রতিবেশীদের বাড়িটি কিনে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
দীর্ঘ দিন ধরে বার্সেলোনার বাড়িতে থাকেন মেসি। সেটাই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হলেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন মেসি। দেখা হলে সৌজন্য বিনিময় করেন হাসি মুখে। কিন্তু প্রতিবেশী একটি পরিবারকে নিয়ে অশান্তির শেষ ছিল না মেসির। সারা দিন চিৎকার, চেঁচামেচি করতেন তাঁরা। একাধিক বার সমস্যার কথা জানালেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত সমাধানের পথ বের করেন মেসি নিজেই। শান্তি পেতে সেই প্রতিবেশীদের বাড়িটি কিনে নেন।
মেসির এই সিদ্ধান্তের কথা জানেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ ইভান রাকিতিচ। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলার বলেছেন, ‘‘মেসি যাঁদের বাড়ি কিনেছে, তাঁরা একটু বেশি শব্দ করতেন। শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছিল মেসির। তাই তাঁদের বাড়িটি ও কিনে নিয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবে। ভাগ্য ভাল বার্সেলোনায় আমাকে এ রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি।’’
বার্সেলোনায় খেলার সময় মেসি ক্যাস্টলডেফেলসের বাড়িতে থাকতেন। ২০০৯ সালে এই বাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। ক্লাব বদলালেও আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বার্সেলোনাকেই নিজের শহর বলে মনে করেন। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর বার্সেলোনার বাড়িতেই থাকার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। সে কথা ভেবে শান্তি বিঘ্নকারী প্রতিবেশীদের নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। স্পেনের ক্লাবে খেলার সময়ই প্রতিবেশীদের বাড়িটি কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সঁ জরমঁতে যোগ দেওয়ায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে কিছুটা সময় লাগল তাঁর।
দেশকে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করার পর আর দেরি করতে চাননি তিনি। সেই প্রতিবেশীদের বাড়িটি কিনে নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেন ৩৫ বছরের ফুটবলার। তাঁর আইনজীবীরা প্রতিবেশী পরিবারটির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বাড়িটি কেনার ব্যবস্থা করেন। এমনই জানিয়েছে স্পেনের সংবাদমাধ্যম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy