বড় সমস্যায় মেসি, এমবাপেদের ক্লাব প্যারিস সঁ জরমঁ। ছবি: টুইটার।
নির্যাতন এবং অপহরণের অভিযোগে তদন্তের সামনে প্যারিস সঁ জরমঁ সভাপতি নাসের আল-খেলাইফি। ২০২০ সালের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হচ্ছে তদন্ত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি হতে পারে লিয়োনেল মেসি, কিলিয়ন এমবাপে, নেমারদের ক্লাবের মালিকের।
তায়েব বেনাবদেরামানে নামে এক ব্যক্তি খেলাইফির বিরুদ্ধে অপহরণ এবং নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। কাতারের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যেতে পারে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তাঁর কাছে আছে বলে দাবি করেছিলেন বেনাবদেরামানে। তার পর খেলাইফি তাঁকে কাতারে অপহরণ করে নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ। পিএসজি সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের তদন্ত হবে ফ্রান্সের তিন জন বিচারপতির নজরদারিতে। বেনাবদেরামানে ফ্রান্সের নাগরিক হওয়ায় সেখানকার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
খেলাইফি অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এক জন পেশাদার অপরাধীকে নিয়ে কথা বলছেন সবাই। ওরা যত বার নতুন করে ঘটনাটা সাজিয়েছে এবং মিথ্যা বলেছে তার থেকে বেশি বার আইনজীবী পরিবর্তন করেছে। তাদের এই মিথ্যা দাবি বিশ্বাস করা হচ্ছে দেখে অবাক লাগছে। যদিও সংবাদমাধ্যম প্রভাবিত বিশ্বেই আমরা বসবাস করি। আইন নিজের পথে চলবে। এ ধরনের অপরাধীদের নিয়ে কথা বলার মতো সময় আমার নেই।’’
গত ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব কাতার পাওয়ার পর শুরু হয়েছিল বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছিল কাতার অনৈতিক ভাবে দায়িত্ব পেয়েছে। ২০২৬ এবং ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ মধ্য প্রাচ্যে সম্প্রচারের স্বত্ব পিএসজি সভাপতির ‘বিইন টেলিভিশন’ পাওয়ার পিছনেও স্বচ্ছতা ছিল না। এই দুই অনিয়ম সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি বেনাবদেরামানের। খেলাইফির এক বিশ্বস্ত কর্মীর কাছ থেকেই তিনি নথিগুলি পেয়েছিলেন বলে দাবি তাঁর। খেলাইফির বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ আদালত গত বছর খারিজ করে দিয়েছে। পিএসজি সভাপতি বেনাবদেরামানের বিরুদ্ধে চুরি, ষড়যন্ত্র এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ এনেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy