সরব কুণাল ঘোষ। ফাইল ছবি
মোহনবাগানের ডামাডোল নিয়ে আবার মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ। মোহনবাগানের নামের আগে ‘এটিকে’ থাকা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে এবং তাতে ক্লাবের বর্তমান ও প্রাক্তন দুই কর্তার বিরোধ নিয়ে তিনি যে বিরক্ত, তা বুঝিয়ে দিলেন ক্লাবের সহ-সভাপতি কুণাল।
সোমবার রাতে একটি বিবৃতিতে তিনি নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি আরও একটি বিবৃতি দেন। তাতে তিনি লেখেন, ইনভেস্টর হিসাবে শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থার থাকাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সদস্য-সমর্থকদের মতো তিনিও চান, সবুজ-মেরুনের নামের সামনে থেকে ‘এটিকে’ সরে যাক।
কুণাল বলেন, ‘‘মোহনবাগানের স্পনসর বা ইনভেস্টর হিসাবে সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে স্বাগত। কিন্তু ক্লাবের নামের আগে ‘এটিকে’ বা এটিকে নামক একটি ক্লাবের সঙ্গে মোহনবাগানের ‘মার্জার’ শব্দটি মানা যায় না।’ সমর্থকরা এই নিয়ে যে আন্দোলন করছেন, তাকে সমর্থন জানিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘মোহনবাগানের সদস্য, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের ‘রিমুভ এটিকে’ আন্দোলন সঠিক। মোহনবাগানের সমর্থক হিসাবে আমিও চাই ‘এটিকে’ সরিয়ে লগ্নিকারীরা বিকল্প কিছু করুন।’’
কুণালের দাবি, ক্লাবের সহ-সভাপতি পদে আসার পর কর্মসমিতির বৈঠকে তিনিই বিষয়টি তুলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘তখন ঠিক হয়, সচিব (দেবাশিস দত্ত) এ বিষয়ে লগ্নিকারীদের সঙ্গে এবং বিশেষ ভাবে সঞ্জীববাবুর সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি এটাও ঠিক, চুক্তির পর লগ্নিকারীদের কথাও ক্লাবকে মেনে চলতে হয়। যখন টাকার দরকার ছিল, এবং না হলে মোহনবাগানের আইএসএল খেলা হত না, তখন সঞ্জীববাবু এগিয়ে আসাতেই সমস্যার সমাধান হয়েছিল। কিন্তু, জট হল ‘এটিকে’ নিয়ে। এর বাইরে লগ্নিকারীকে নিয়ে কোনও আপত্তি সমর্থকদের নেই।’’ কুণাল এখনকার পরিস্থতির জন্য প্রাক্তন ও বর্তমান দুই কর্তাকে দায়ী করে বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই ‘এটিকে’ এড়িয়ে বিকল্প পথের সন্ধান করলে আজকের এই পরিস্থিতি হত না। তখন যাঁরা এই প্রক্রিয়ার ভগীরথ ছিলেন, তাঁরা এখন পরস্পরের দিকে দায়িত্বের বল ঠেলে দেওয়াটা হাস্যকর। এটা সচিব বনাম প্রাক্তন সচিব যুদ্ধে পরিণত না হয়ে এটিকে জট খোলার প্রক্রিয়া হওয়া দরকার।’’ নাম না করলেও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, মোহনবাগানের এখনকার সচিব দেবাশিস দত্ত ও প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুর কথাই বলেছেন কুণাল।
গত রবিবার দেবাশিসের বাড়ির সামনে এক দল সমর্থক মোহনবাগানের নাম থেকে ‘এটিকে’ সরানো নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়। সেই প্রতিবাদ, বিক্ষোভের নিন্দা করে মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়। তার বিরোধিতা করে কুণাল বলেন, ‘‘ক্লাবের তরফ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তার বয়ানের অনেকাংশ নিয়ে আমার আপত্তি থাকছে। ওই বিবৃতি তড়িঘড়ি করে দিতে গিয়ে অনভিপ্রেত বিতর্ক সামনে এসেছে।’’
পাশাপাশি সদস্য সমর্থকদের কাছে কুণালের অনুরোধ, ‘‘আপনাদের আবেগ সঠিক। আপনারা প্রতিবাদ করতে পারেন। আপনারা মানে তো আমরাই, আমরা সবাই। কিন্তু সেটা লক্ষ্মীপুজোর দিন কোনও কর্তার বাড়ির সামনে হওয়া অবাঞ্ছিত। ক্লাবের বিষয় বাড়িতে যাবে কেন? প্রতিবাদ হতেই পারে। কিন্তু তার ধরনধারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আন্দোলনেরই ক্ষতি। এ বিষয়টিও সমান ভাবে গুরুত্ব পাওয়া উচিত। এক জন সমর্থক হিসাবে আমিও চাইব দ্রুত ‘এটিকে’ সরিয়ে বিকল্প নাম দেওয়া হোক। আলোচনা, বিবৃতি এবং নিজেদের ঝগড়ায় সময় নষ্ট করে আসল সমস্যা জিইয়ে রাখলে সদস্য, সমর্থকদের বিরক্তি বাড়বেই। সবচেয়ে বড় কথা ঐতিহ্যশালী মোহনবাগানের নামের আগে অন্য ফুটবল ক্লাবের নাম চলতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy