—প্রতীকী ছবি
কল্যাণী স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচে মহমেডানের শেখ ফৈয়জ় শেষ মুহূর্তে ২-২ না করলে কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের ‘এ’ গ্রুপের চিত্রটাই অন্যরকম হত। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সুপার সিক্সে খেলা নিশ্চিত হয়ে যেত মোহনবাগানের। ফলে আজ, রবিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে ডায়মন্ড হারবার এফসির বিরুদ্ধে অনেক চাপমুক্ত হয়ে নামতে পারতেন কিয়ান নাসিরি-রা। এখন আর তা হওয়ার উপায় নেই।
১২ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ স্থানে রয়েছে মহমেডান। এক ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডায়মন্ড হারবারের সংগ্রহে ২৬ পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে মোহনবাগান। সমস্যা হচ্ছে চতুর্থ স্থানে থাকা কালীঘাট মিলন সংঘের সংগ্রহেও ২৪ পয়েন্ট। তবে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। তবে গোল পার্থক্যে কালীঘাটের (+১৩) চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগান (+১৮)। তাই রবিবার হারলেও সুপার সিক্সে পৌঁছে যাবে সবুজ-মেরুন বাহিনী। হারের ব্যবধান যদি ৬ গোলের হয়, তা হলেই বিপদ। সুপার সিক্সে খেলার আশা শেষ হয়ে যাবে ১৩২তম ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়নদের। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, অনূর্ধ্ব-২৩ ভারতীয় দলের এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলতে যাওয়া সুহেল বাট, লালরিনলিয়ানা হামতে, আরশ আনোয়াররা ফিরে এসেছেন।
সুহেলরা ফেরায় শক্তি বাড়লেও মোহনবাগান শিবিরে অস্বস্তি বাড়ছে কোচ বাস্তব রায়কে নিয়ে। নির্বাসনের কারণে ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে ম্যাচে থাকতে পারবেন না তিনি। দু’টি হলুদ কার্ড দেখেছেন সবুজ-মেরুনের কোচ। বাস্তব যদিও তা নিয়ে ভাবছেন না। বললেন, ‘‘নির্বাসনের কারণে ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে ম্যাচে আমি রিজ়ার্ভ বেঞ্চে বসতে পারব না। কিন্তু আমার সহকারী বিশ্বজিৎ ঘোষাল ও অভ্র মণ্ডল তো রয়েছে। ওরাও যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তা ছাড়া অনূর্ধ-২৩ জাতীয় দলের হয়ে খেলে সুহেল, হামতে, আরশ ফিরে এসেছে। ওদের
পাওয়া যাবে।’’
সুপার সিক্সে যোগ্যতা অর্জনের জন্য মোহনবাগানের সামনে যে অঙ্ক রয়েছে, তা নিয়েও ভাবতে চান না বাস্তব। বলে দিলেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবার ভাল দল। ওরা ইতিমধ্যেই সুপার সিক্সে পৌঁছে গিয়েছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য এই ম্যাচটা জিতে খেতাবি দৌড়ে টিকে থাকা। আশা করছি, পুরো তিন পয়েন্টই অর্জন করেই সুপার সিক্সে উঠব আমরা।’’ তবে ২০১৯-’২০ মরসুমে মোহনবাগানকে আই লিগে চ্যাম্পিয়ন করা কিবু ভিকুনার ডায়মন্ড হারবার যে তাঁকে ভাবাচ্ছে, গোপন করেননি সবুজ-মেরুনের কোচ। বললেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবার শক্তিশালী দল। ইতিমধ্যেই সুপার সিক্সে পৌঁছে গিয়েছে। ওদের লক্ষ্য থাকবে আমাদের হারিয়ে খেতাবি দৌড়ে ভাল জায়গায় থাকা। আশা করছি, উপভোগ্য ম্যাচ হবে।’’
অভিষেক দাস, সৌরভ দাস-সহ একাধিক অভিজ্ঞ ফুটবলার এ বার ডায়মন্ড হারবারে রয়েছেন। অধিনায়ক অভিষেক মোহনবাগানেও খেলেছেন। যদিও রবিবারের ম্যাচে মনোতোষ চাকলাদার, জেরেমি লালডিনপুইয়া, সাইবারলং খারপান, সলমন কালিয়াথ ও সৌরভ ভানওয়ালাকে পাওয়া যাবে না। ইতিমধ্যে সুপার সিক্সে পৌঁছে গেলেও পুরনো দলকে হারাতে মরিয়া কিবু বললেন, ‘‘মোহনবাগান দুর্দান্ত দল। একাধিক তরুণ প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই সম্প্রতি জাতীয় দলের হয়ে খেলছে। এশিয়ান গেমসের দলেও কেউ কেউ রয়েছে। তাই প্রতিপক্ষের গুণমান সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। মোহনবাগান দেশের অন্যতম সেরা দল। তবে আমরা তৈরি।’’ যোগ করেন, ‘‘সুপার সিক্সে ইতিমধ্যেই পৌঁছে যাওয়ায় খুশি ঠিকই। কিন্ত মনে রাখতে হবে, এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে খেতাবি দৌড়ে আমরা ভাল জায়গায় থাকতে পারব। ছেলেদের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কলকাতার যে কোনও দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার যোগ্যতা আমাদের রয়েছে।’’
রবিবার কলকাতা লিগে: মোহনবাগান বনাম ডায়মন্ড হারবার এফসি (নৈহাটি, বিকেল ৩.০০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy