আট বছর দায়িত্বে থাকার পর সরে গেলেন হ্যারি কেনদের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ইউরো কাপের ফাইনালে হেরে যায় ইংল্যান্ড। স্পেনের বিরুদ্ধে হারের পর দায়িত্ব ছাড়লেন সাউথগেট। গত রবিবার রাতে ২-১ গোলে হেরে যায় ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার দায়িত্ব ছাড়লেন সাউথগেট।
ইংল্যান্ডের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা এফএ-র ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে সাউথগেট জানিয়েছেন, ‘‘ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা এবং কোচিং করানো আমার কাছে সম্মানের। নিজের সব কিছু উজাড় করে দিয়েছি। কিন্তু এখন বদলের সময় এসেছে। নতুন অধ্যায়ের সময় এসেছে। বার্লিনে স্পেনের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচটাই ইংল্যান্ডের কোচ হিসাবে আমার শেষ ম্যাচ।’’
দেশের হয়ে ৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন সাউথগেট। ১০২টি ম্যাচে কোচিং করিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। ২০২০ এবং এই বছরের ইউরোয় ইংল্যান্ড তাঁর প্রশিক্ষণে ফাইনালে উঠেছিল। ২০২২ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন:
এ বারের ফাইনালের পরেই পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “আমার মনে হয় অভিজ্ঞতার দিক থেকে ইংল্যান্ড এখন ভাল জায়গায় আছে। দলের বেশির ভাগ ফুটবলার তরুণ হলেও সর্বোচ্চ মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ওদের। পরের বিশ্বকাপ, এমনকি, পরের ইউরো কাপেও এই দলের অনেক ফুটবলার থাকবে। ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ ভাল। কিন্তু এই মুহূর্তে সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা নেই।” কথা বলতে গিয়ে দলকে ‘ইংল্যান্ড’ বলে উল্লেখ করেছিলেন সাউথগেট। এর আগে যখন দলকে নিয়ে কথা বলতেন, তখন ‘আমরা’ বলতেন। তখনই মনে করা হয়েছিল, তাঁর পদত্যাগ সময়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত সেটাই হল।
চলতি বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চুক্তি ছিল সাউথগেটের। ইংল্যান্ড ইউরোর ফাইনালে উঠলেও তাঁর রক্ষণাত্মক পরিকল্পনার সমালোচনা হয়েছে এ বারের প্রতিযোগিতায়। ভাল ফুটবলার থাকার পরেও দল কেন এত নেতিবাচক ফুটবল খেলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও জিতেছিল ইংল্যান্ড। মূলত সাউথগেটের স্ট্র্যাটেজির জন্যই ইংল্যান্ড জিততে পেরেছিল। তিনি বুদ্ধি করে অলি ওয়াটকিন্সকে নামিয়েছিলেন। সংযুক্তি সময়ে ওয়াটকিন্সই গোল করে ইংল্যান্ডকে জেতান। তখনই কোচের গলায় অভিমান ধরা পড়েছিল। ম্যাচের পর সাউথগেট বলেছিলেন, “আমরা সবাই চাই লোকে আমাদের ভালবাসুক। তাই না? দেশের হয়ে কিছু করতে পারলে নিজেকে গর্বিত ইংরেজ মনে হয়। কিন্তু পাশে কাউকে না পেলে এবং সমালোচনা শুনলে সেটা মেনে নেওয়া কঠিন।”