Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
East Bengal FC

East Bengal FC: লাল-হলুদের নতুন বিনিয়োগকারী হওয়ার দৌড়ে আপাতত রয়েছে চার সংস্থা

শ্রী সিমেন্টের বিদায় এক রকম নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরে এখন প্রশ্ন, ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিনিয়োগকারী কারা হবেন? এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে কোনও সংস্থাই চূড়ান্ত হয়নি। আপাতত লাল-হলুদে বিনিয়োগ করার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে চারটি সংস্থা। চারটিই শ্রী সিমেন্টের মতো সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা।

নতুন বিনিয়োগকারীর নাম জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা।

নতুন বিনিয়োগকারীর নাম জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। ফাইল চিত্র

অনির্বাণ মজুমদার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৪৮
Share: Save:

শ্রী সিমেন্টের বিদায় এক রকম নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরে এখন প্রশ্ন, ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিনিয়োগকারী কারা হবেন? এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে কোনও সংস্থাই চূড়ান্ত হয়নি। আপাতত লাল-হলুদে বিনিয়োগ করার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে চারটি সংস্থা। চারটিই শ্রী সিমেন্টের মতো সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা। বিড়লা সিমেন্ট, স্টার সিমেন্ট, রেশমি সিমেন্ট এবং বসুন্ধরা সিমেন্টের সঙ্গে আপাতত কথাবার্তা চলছে বলে জানা গিয়েছে।

এই চার সংস্থার মধ্যে স্টার সিমেন্টের বয়স সব থেকে কম। ২০০১ সালে জন্ম এই সংস্থার। এই মুহূর্তে উত্তর-পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা স্টার। মেঘালয়ের লুমসনংয়ে এই সংস্থার মূল দপ্তর। শিল্পপতি সজ্জন ভজনকার এই সংস্থার বার্ষিক আয় মোটামুটি দু’হাজার কোটি টাকা।

২৫ বছরের পুরনো সংস্থা রেশমি সিমেন্ট এই মুহূর্তে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে। সজ্জন পাটওয়ারির এই সংস্থার মূল উৎপাদন হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে।

এমপি বিড়লা গ্রুপের সংস্থা বিড়লা সিমেন্ট। একশ বছরের পুরনো এই সংস্থা এই মুহূর্তে চার হাজার কোটি টাকার উপর ব্যবসা করে। এখন সংস্থার মালিকানা হর্ষবর্ধন লোধার হাতে।

লাল-হলুদে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে শেষ মুহূর্তে ঢুকে পড়েছে বসুন্ধরা সিমেন্ট। এই সংস্থা ২৬ বছরের পুরনো। তারা বাংলাদেশের দুই ফুটবল দল বসুন্ধরা কিংস এবং শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের মালিক। বাংলাদেশের এই সংস্থার কর্নধার সায়েম সোবহান আনভীরকে বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সংবর্ধিত করে। তার পর থেকেই শোনা যায়, এই সংস্থাই লাল-হলুদের নতুন বিনিয়োগকারী হচ্ছে।

কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং বসুন্ধরা গ্রুপের কেউই এখনই এই ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা দেননি। বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি হোটেলে বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া নৈশভোজে গিয়ে বোঝাও গেল, এখনই কোনও পাকা কথা হয়নি। তবে, দু’পক্ষই মাত্র এক দিনের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহী।

জানা গেল, এই চার সংস্থার বাইরে অন্য সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে। কিছু যোগাযোগ ক্লাব নিজেরাই করবে, কিছু হবে এজেন্ট মারফৎ। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন মরসুম শুরু হওয়ার আগে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে প্রবল ভাবে সচেষ্ট ইস্টবেঙ্গল।

শোনা যাচ্ছিল আদানি গোষ্ঠীর নামও। কিন্তু আপাতত তারা এই দৌড়ে নেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy