কুকুরেয়ার (২৪ নম্বর জার্সি) হাতে বল লাগার সেই মুহূর্ত। ছবি: রয়টার্স।
ইউরো কাপ শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তার মাঝেই দু’টি নিয়ম বদলের দাবি উঠে গেল। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার গ্যারি লিনেকার এবং রিয়ো ফার্ডিনান্ড দাবি তুললেন, ৯০ মিনিটের পর আর ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়ার দরকার নেই। অন্য দিকে জার্মানির কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যানের দাবি, হ্যান্ডবলের বিষয়ে আরও স্বচ্ছ হওয়া দরকার।
এ বারের ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম তিনটি ম্যাচই অতিরিক্ত সময়ে গিয়েছে। এর মধ্যে স্পেন-জার্মানি বাদে কোনও ম্যাচেই অতিরিক্ত সময়ে গোল হয়নি। তার মধ্যে সবচেয়ে ঘুমপাড়ানি ফুটবল হয়েছে ফ্রান্স বনাম পর্তুগাল ম্যাচে। কোনও দলকেই গোল করতে আগ্রহী দেখায়নি।
সেই ম্যাচের বিশ্লেষণ করতে বসে লিনেকার ব্যাখ্যা করেন যে কী ভাবে ফুটবলারেরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে। তাঁর দাবি, ৯০ মিনিটের পর সরাসরি টাইব্রেকারে যাওয়া উচিত ম্যাচ। এই নিয়ম রয়েছে কোপা আমেরিকায়। সেটাই অনুসরণ করতে বলেছেন তিনি।
লিনেকারের কথায়, “এখনকার ফুটবলে আদৌ অতিরিক্ত সময়ের কোনও গুরুত্ব রয়েছে কি না জানি না। খেলোয়াড়েরাও মনে হয় পছন্দ করে না। একটা কঠিন মরসুম ক্লাবের হয়ে কাটিয়ে আসার পর ওরা ক্লান্ত। এত ম্যাচ আর খেলতে পারছে না। ইউরো কাপে অনেক ক্লান্ত ফুটবলার চোখে পড়েছে আমার।”
ফার্ডিনান্ডের উদ্দেশে লিনেকার বলেন, “যদি ফুটবলারদের আরও বেশি ম্যাচ খেলতে বলা হয়, তা হলে অতিরিক্ত সময়ের ব্যাপারটাই তুলে নেওয়া উচিত। তাতে কিছুটা হলেও কম পরিশ্রম হবে। অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ালে বেশির ভাগ দর্শকই টাইব্রেকার দেখতে চায়।”
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ডিফেন্ডার ফার্ডিনান্ডও পাশে দাঁড়িয়েছেন ফুটবলারদের। বলেছেন, “খুব দ্রুত এমন একটা সময় আসবে যখন খেলোয়াড়েরা ভেঙে পড়বে। এত বেশি ম্যাচ ওদের দিয়ে খেলানো উচিত নয়। কী ভাবে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমানো যায় সেটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। আমারও মত, ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার পর সরাসরি টাইব্রেকারে চলে যাওয়া হোক।”
এ দিকে, শুক্রবার স্পেনের বক্সে মার্ক কুকুরেয়ার হাতে একটি বল লাগে। সেটি রেফারি পেনাল্টি দেননি। কারণ তাঁর মনে হয়েছে, কুকুরেয়া বলের গতিপথ থেকে হাত সরাতে গিয়েছিলেন। তাই সেটি অনিচ্ছাকৃত। নাগেলসম্যানের মতে, রাতারাতি নিয়ম বদলের দরকার নেই। কিন্তু হ্যান্ডবলের নিয়মকে আর একটু বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা উচিত। রেফারিদের উচিত বিপক্ষ দলের প্রতি সঠিক বিচার করা। শুধু এই একটি ঘটনা, বাকি সব বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য বলে মনে করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy