নিজের বয়স এখনও কম মনে হয় রোনাল্ডোর। ফাইল ছবি
পর্তুগাল দলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের ঝামেলা নিয়ে রোজই কোনও না কোনও খবর প্রকাশ্যে আসছে। কোচ তাঁকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে দেওয়ায় রোনাল্ডো নাকি ক্ষিপ্ত। পর্তুগিজ ফুটবলার নিজে এবং ফুটবল সংস্থা তীব্র বিরোধিতা করলেও জল্পনা থামছে না। রোনাল্ডো কি ক্লাবে থাকাকালীনও এমন কাজ করেন? উত্তর দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনসেলোত্তি। প্রথম দফায় রিয়ালকে কোচিং করানোর সময় যাঁর অধীনে খেলেছেন রোনাল্ডো।
ইটালির এক সংবাদপত্রকে আনসেলোত্তি বলেছেন, “রোনাল্ডো এখনও মনে করে যে ওর ২০ বছর বয়স। খেলতেও চায় সে ভাবেই। শারীরিক ভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী। আমি দু’বছর ওকে কোচিং করিয়েছি। কোনও দিন সমস্যা হয়নি। এমনকি, কোনও সমস্যা হলে সেটা রোনাল্ডোই সমাধান করে দিয়েছে। ক্রিশ্চিয়ানো অনুশীলনের দিক থেকে নিখুঁত। খুব ছোট ছোট জিনিসে ওর নজর রয়েছে। তাই ওকে পরিচালনা করা আমার কাছে খুবই ছিল। বাকিদের থেকে ও অনেক আলাদা।”
পর্তুগালের এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সুইৎজ়ারল্যান্ড ম্যাচের আগে রোনাল্ডো কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে কথা বলেন। পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তাঁকে প্রথম একাদশে না রাখার সিদ্ধান্তে খুশি নন। হুঁশিয়ারি দেন, পরের ম্যাচেও তাঁকে প্রথম একাদশে না রাখা হলে ব্যাগ গুছিয়ে কাতার থেকে দেশে ফিরে যাবেন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, বেশ উত্তপ্ত কথাবার্তা হয় সান্তোস এবং রোনাল্ডোর মধ্যে। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যে ‘হুঁশ ফেরে’ রোনাল্ডোর। তাঁর দলে থাকা কতটা জরুরি, সেটা তিনি বুঝতে পারেন এবং দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এই সংবাদের বিরোধিতা করে রোনাল্ডো সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বাইরের কিছু কিছু শক্তি একটা ঐক্যবদ্ধ দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এই দলটা বাইরের কোনও শক্তিকে ভয় পায় না। স্বপ্ন পূরণ করার জন্য শেষ পর্যন্ত এই দলটা চেষ্টা করে যাবে! আমাদের উপর বিশ্বাস রাখুন!”
পর্তুগিজ ফুটবল সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে লেখা হয়, “বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে ঝামেলার জেরে জাতীয় দল ছেড়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আমরা জানাতে চাই, রোনাল্ডো কখনওই এমন কথা বলেননি বা এমন ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি। জাতীয় দল এবং দেশের সেবা করতে রোজই রোনাল্ডো কোনও না কোনও নতুন কীর্তি স্থাপন করছেন। সেটা সমীহ করা উচিত এবং জাতীয় দলের প্রতি ওঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। ঘটনাচক্রে, সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে পর্তুগালের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলারের দায়বদ্ধতা আরও এক বার বোঝা গিয়েছে। এই বিশ্বকাপ যাতে পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসে সেরা বিশ্বকাপ হয়, তার জন্য সমস্ত ফুটবলার, কোচ প্রথম দিন থেকে দায়বদ্ধ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy