তাঁর প্রতি আক্রমণে ক্ষিপ্ত হয়ে জবাব দিলেন রোনাল্ডো। ছবি: রয়টার্স
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অশান্তি লাগার আঁচ মিলেছিল পর্তুগাল শিবিরে। সৌজন্যে সে দেশের এক সংবাদমাধ্যম। তারা প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছিল, সুইৎজ়ারল্যান্ডে ম্যাচের পর কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে বাদানুবাদের জেরে ব্যাগ গুছিয়ে দেশে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তার কিছু ক্ষণ পরেই এই প্রতিবেদনকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে তীব্র বিরোধিতা করল পর্তুগিজ ফুটবল সংস্থা। মুখ খুললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও। সাফ জানালেন, তাঁদের দলকে ভাঙার চেষ্টা করছে কেউ কেউ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এই সংবাদের বিরোধিতা করে রোনাল্ডো সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বাইরের কিছু কিছু শক্তি একটা ঐক্যবদ্ধ দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এই দলটা বাইরের কোনও শক্তিকে ভয় পায় না। স্বপ্ন পূরণ করার জন্য শেষ পর্যন্ত এই দলটা চেষ্টা করে যাবে! আমাদের উপর বিশ্বাস রাখুন!”
পর্তুগিজ ফুটবল সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে ঝামেলার জেরে জাতীয় দল ছেড়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আমরা জানাতে চাই, রোনাল্ডো কখনওই এমন কথা বলেননি বা এমন ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি। জাতীয় দল এবং দেশের সেবা করতে রোজই রোনাল্ডো কোনও না কোনও নতুন কীর্তি স্থাপন করছেন। সেটা সমীহ করা উচিত এবং জাতীয় দলের প্রতি ওঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। ঘটনাচক্রে, সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে পর্তুগালের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলারের দায়বদ্ধতা আরও এক বার বোঝা গিয়েছে। এই বিশ্বকাপ যাতে পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসে সেরা বিশ্বকাপ হয়, তার জন্য সমস্ত ফুটবলার, কোচ প্রথম দিন থেকে দায়বদ্ধ।”
Um grupo demasiado unido para ser quebrado por forças externas. Uma nação demasiado corajosa para se deixar atemorizar perante qualquer adversário. Uma equipa no verdadeiro sentido da palavra, que vai lutar pelo sonho até ao fim! Acreditem connosco! Força, Portugal!🙏🏽 pic.twitter.com/gUeENXSB5F
— Cristiano Ronaldo (@Cristiano) December 8, 2022
পর্তুগালের সেই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, শেষ ষোলোয় সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রথম একাদশে রাখা হবে না বুঝতে পেরেই রেগে গিয়েছিলেন রোনাল্ডো। ম্যাচের মধ্যে তাঁকে মুখ গোমড়া করে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ৭৩ মিনিটে তাঁকে নামানো হয়। ম্যাচের পর সতীর্থরা যখন দর্শকাসনের কাছে গিয়ে সমর্থকদের অভিবাদন জানাচ্ছিলেন, তখন রোনাল্ডো একা একা হেঁটে সাজঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন।
ম্যাচের পর রোনাল্ডো কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে কথা বলেন। পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কোচের সিদ্ধান্তে তিনি খুশি নন। হুঁশিয়ারি দেন, পরের ম্যাচেও তাঁকে প্রথম একাদশে না রাখা হলে ব্যাগ গুছিয়ে কাতার থেকে দেশে ফিরে যাবেন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, বেশ উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়েছে সান্তোস এবং রোনাল্ডোর মধ্যে। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যে ‘হুঁশ ফেরে’ রোনাল্ডোর। তাঁর দলে থাকা কতটা জরুরি, সেটা তিনি বুঝতে পারেন এবং দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন।
সতীর্থরাও রোনাল্ডোকে বোঝাতে থাকেন। তাঁকে বলেন, রোনাল্ডো এই বিশ্বকাপে সর্ব ক্ষণ সংবাদমাধ্যমের নজরে রয়েছেন। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ফলে এখনই তিনি যদি দেশে ফেরার মতো বিরাট কোনও পদক্ষেপ নেন, তা হলে দলের উপর তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। খেলা ছেড়ে যাবতীয় নজর রোনাল্ডোর দিকেই ঘুরে যাবে। দলের বাকি ফুটবলাররা বিশ্বকাপ জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তাঁদের যাবতীয় প্রচেষ্টা রোনাল্ডোর এই একটি কাজে মাঠে মারা যাবে।
তবে গোটাটাই মিথ্যা প্রতিবেদন বলে দাবি করেছেন রোনাল্ডো এবং পর্তুগিজ ফুটবল সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy