হাসপাতালে ভর্তি পেলের অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। অন্য দিকে চোট পেয়ে অনিশ্চিত নেমারের বিশ্বকাপ অভিযান। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে চোট পাওয়ার পরে আর মাঠে নামতে পারেননি নেমার। কবে নামবেন, কেউ জানে না। তার মাঝেই পেলের শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। এই জোড়া খবরে উদ্বিগ্ন ব্রাজিল। নেমারের পাশাপাশি পেলের সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনা করছেন তাঁরা।
শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়েছে পেলের। ব্রাজিলের সংবাদপত্র ‘ফোলহা ডে সাও পাওলো’ জানিয়েছে, কেমোথেরাপি কাজ করছে না পেলের শরীরে। কোনও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না ব্রাজিলের হয়ে তিন বার বিশ্বকাপ জেতা ফুটবলার। তাঁকে রাখা হয়েছে ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ।
এই পরিস্থিতিতে নেমারের ভক্তদের একটি পেজ থেকে টুইট করা হয়েছে পেলের জন্য। সেখানে লেখা, ‘‘কেমোথেরাপিতে সাড়া দিচ্ছেন না পেলে। যন্ত্রণা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতে তাঁকে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে। পেলের মলাশয়ের ক্যানসারের আর কোনও চিকিৎসা করা যাচ্ছে না। ফলে ওঁর ফুসফুস ও লিভারে সমস্যা হচ্ছে। ফুটবল সম্রাটের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনা করছি।’’
বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। ৫ ডিসেম্বর, সোমবার ভারতীয় সময় রাত ১২.৩০ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামবে তারা। গোড়ালিতে চোট পাওয়ায় বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ দু’টি ম্যাচ খেলতে পারেননি নেমার। তবে শেষ ম্যাচে দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। শেষ ষোলোয় তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম। তাঁকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছেন দলের ফিজিয়োরা।
Pelé no longer responds to chemotherapy & is under palliative care to avoid pain & shortness of breath.
— ⋆𝗡𝗲𝘆𝗺𝗼𝗹𝗲𝗾𝘂𝗲 (@Neymoleque) December 3, 2022
There is no longer any treatment for the bowel cancer, which has metastasized to Pelé’s lungs & liver.
Prayers for the King of football 🤴🏿🙏🏼 pic.twitter.com/PAEXUlzx1f
পেলেকে রাখা হয়েছে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে। কী এই প্যালিয়াটিভ কেয়ার?
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘যখন রোগীর শরীরে কোনও চিকিৎসা কাজ করে না, তখনই তাঁকে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে রাখা হয়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে উপসর্গ উপশম করা হয়। অর্থাৎ, রোগীর শরীরে যে যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা থেকে তিনি যাতে কষ্ট না পান সেই বন্দোবস্ত করেন চিকিৎসকেরা। যত দিন সেই রোগী বেঁচে থাকবেন তত দিন যেন তিনি আরামে থাকতে পারেন তার জন্যই রয়েছে প্যালিয়াটিভ কেয়ার।’’ তবে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে কোনও রোগীকে রাখার মানে যে তিনি কিছু দিনের মধ্যেই প্রয়াত হবেন, তাও নয়। তিনি আরও বললেন, ‘‘ওই অবস্থায় রোগী এক বছরও বাঁচতে পারেন। সেটা নির্ভর করছে রোগীর শরীর কতটা সহ্য করতে পারছে তার উপর।’’
গত মঙ্গলবার হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ও শরীর ফুলে যাওয়ায় সাও পাওলোর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল পেলেকে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী মার্সিয়া আওকি এবং এক জন আয়া। তার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এর আগে বিভিন্ন কারণে পেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও শরীর ফুলে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল, পেলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর মেয়ে জানিয়েছিলেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন পেলে। কিন্তু তার মধ্যেই নতুন করে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। কেমোথেরাপি চলছিল পেলের। সেটাই আর নিতে পারছেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy