বিশ্বকাপের সময় দলের খেলা ছেড়ে কোনও কাজ করতে রাজি নন ইংল্যান্ডের অধিকাংশ ফুটবলপ্রেমী। ছবি: টুইটার।
আপাতত বিশ্বকাপ ছাড়া কিছু ভাবতে নারাজ ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ফুটবলপ্রেমীরা। প্রয়োজনে যাবেন না অফিস। খুলবেন না দোকান। এমনকী শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানেও যেতে আগ্রহী নন তাঁরা।
প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ওয়েলস। কাতারে ভাল কিছু করতে মরিয়া গ্যারেথ বেলরা। অন্য দিকে, গত বার সেমিফাইনালে হেরে যায় ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা দ্বিতীয় বার দেশে নিয়ে যেতে চান ট্রফি। দু’দলের সমর্থকরাই এখন বিশ্বকাপ নিয়ে কিছু ভাবতে নারাজ। প্রায় ৫০ শতাংশ ফুটবলপ্রেমী সাফ জানিয়েছেন, অফিস না যাওয়ার জন্য চাকরি গেলে যাক। পরে ভাবা যাবে। বিশ্বকাপের খেলা কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রথম খেলা ২১ নভেম্বর ইরানের বিরুদ্ধে। একই দিনে ওয়েলস অভিযান শুরু করবে আমেরিকার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ, একদম প্রথম থেকেই দু’দেশের ফুটবলপ্রেমীদের বিশ্বকাপ শুরু হয়ে যাবে। অনেকেই প্রিয় দলের খেলা দেখতে কাতার পৌঁছে গিয়েছেন। যাঁরা দেশে আছেন, তাঁরা বসবেন টেলিভিশনের সামনে। প্রিয় দলের খেলার এক সেকেন্ডও চোখের আড়াল করতে চান না তাঁরা।
ইংল্যান্ডের ফুটবলপ্রেমীদের ৪৭ শতাংশ জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বকাপের সময় কোনও কাজ করবেন না। ইংল্যান্ডের আরও ১৩ শতাংশ ফুটবলপ্রেমী বলেছেন, দলের খেলা থাকলে বাড়ির বাইরে পা রাখার প্রশ্নই নেই। অফিসে সাফ জানিয়ে দেবেন, খেলা ছেড়ে কাজ করা সম্ভব নয়। ১৫ শতাংশ জানিয়েছেন, খেলার সময় কাজ নয়। অফিস বললে অন্য সময় গিয়ে কাজ করে দিতে পারেন। ওয়েলস সমর্থকদেরও ৪১ শতাংশ বিশ্বকাপের সময় কাজ করতে নারাজ। ওয়েলস সমর্থকদের ৪০ শতাংশ জানিয়েছেন দলের খেলার সময় কোনও সেমিনার বা বৈঠক থাকলে সযত্নে এড়িয়ে যাবেন।
এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। ফুটবল-পাগল জনতার একাংশ আরও অনড়। ইংল্যান্ডের ১০ শতাংশ ফুটবলপ্রেমী জানিয়েছেন, দলের খেলার সময় কোনও পরিজনের মৃত্যু হলেও যাবেন না। সাত শতাংশ জানিয়েছেন, কারও মৃত্যুর খবর পেলে গেলেও তাঁরা মোবাইলে খেলা দেখবেন। অর্থাৎ, উপস্থিতিই যথেষ্ট। ইংল্যান্ডের সাত শতাংশ ফুটবল সমর্থক আবার জানিয়েছেন, এই সময় সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌনতাও এড়িয়ে চলবেন।
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার কয়েক দিন পরেই বড়দিনের উৎসব। তাই কাতার বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর দরকারে দিন-রাত পরিশ্রম করে কাজ তুলে দিতে চান দু’দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু, দলের খেলা দেখায় বিঘ্ন ঘটালে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy