দেশে ফিরতে পারেন গোলকিপার ওনানা। ফাইল ছবি
কোচের কৌশল তাঁর একেবারেই পছন্দ নয়। তাই কোচের নির্দেশ মতো খেলতে চাননি তিনি। ব্যস, সেই নিয়ে লেগে গেল ঝামেলা। ফলে ম্যাচের এক ঘণ্টা আগেই দলের এক নম্বর গোলকিপার আন্দ্রে ওনানাকে বসিয়ে দিলেন ক্যামেরুনের কোচ রিগোবার্ট সং। নামিয়ে দিলেন অন্য গোলকিপারকে। অবস্থা এতটাই গুরুতর যে, বিশ্বকাপের মাঝেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে ওনানাকে।
সোমবার সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল ক্যামেরুনের। ১-৩ পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছে তারা।। কিন্তু ম্যাচের আগেই সাজঘরে হয় ব্যাপক ঝামেলা। যে ভাবে সং দলকে খেলাতে চাইছিলেন, তার সঙ্গে একমত ছিলেন না ওনানা। দলের মধ্যেই বিদ্রোহ করে বসেন। কোচের সঙ্গে ঝামেলা লেগে যায় তাঁর। ক্যামেরুন ফুটবল সংস্থার প্রধান তথা প্রাক্তন ফুটবলার স্যামুয়েল এটো মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেন। তাতেও লাভ হয়নি।
ম্যাচের মধ্যে ওনানাকে প্রায়ই দেখা যায় গোল থেকে অনেকটা এগিয়ে এসে সতীর্থদের পাস দিতে। তাতে বিপদে পড়তে পারে দল। তাই সং ও ভাবে খেলতে বারণ করেছিলেন। ওনানা শুনতে চাননি। শোনা গিয়েছে, তাঁকে বিশ্বকাপের মাঝেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। আর কোনও দিন তিনি জাতীয় দলের হয়ে নামতে পারবেন কিনা, সেই জল্পনাও চলছে।
সোমবারের ম্যাচে খেলার শুরু থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ বেশি ছিল ক্যামেরুনের। দু’প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছিল তারা। ক্যামেরুনের ফুটবলারদের গতির কাছে সমস্যায় পড়ছিলেন সার্বিয়ার ফুটবলাররা। আক্রমণের ফল পায় ক্যামেরুন। ২৯ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল তুলে নেয় তারা। কর্নার থেকে কুন্ডের ক্রস ধরে ডান পায়ের টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন জিন চার্লস ক্যাসেলেটো। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর প্রথম গোল এল বিশ্বকাপের মঞ্চে।
গোল খাওয়ার পরে তা শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সার্বিয়া। মিত্রোভিচের নেতৃত্বে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় তারা। ৩৯ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে সমতা ফেরাতে পারত সার্বিয়া। যদিও প্রথম গোল পেতে বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে সমতা ফেরান পাভলোভিচ। দু’মিনিট পরেই এগিয়ে যায় সার্বিয়া। এ বার ক্যামেরুনের রক্ষণের ভুলকে কাজে লাগায় তারা। বক্সের বাইরে থেকে মিলিঙ্কোভিচ-স্যাভিচের শট ক্যামেরুনের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকে বেশি আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে সার্বিয়া। ক্যামেরুন কিছুটা চাপে পড়ে যায়। ৫৯ মিনিটের মাথায় দলের তৃতীয় গোল করেন মিত্রোভিচ। দু’গোলে পিছিয়ে থাকার পরে একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন করেন ক্যামেরুনের কোচ। তাতে খেলার ছবিটা বদলে যায়। ৬৩ ও ৬৬ মিনিটে জোড়া গোল করে ম্যাচে ফেরে ক্যামেরুন। প্রথমে গোল করেন ভিনসেন্ট আবুবাকার। তার পরে সার্বিয়ার রক্ষণকে বোকা বানিয়ে গোল করেন এরিক মোটিং। খেলার ফল ৩-৩ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy