গোলের পর অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
জাপান, ইরানের পর এ বার অস্ট্রেলিয়া। এশিয়া থেকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করা আরও একটি দেশ জিতল বিশ্বকাপে। এই নিয়ে এশিয়ার দেশগুলি পরের পর ম্যাচে অবাক করে দিচ্ছে। শনিবার মিচেল ডিউকের একমাত্র গোলে তিউনিশিয়াকে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া এশিয়ার অংশ নয়। পূর্ব দিকের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি ওশিয়ানিয়ার অন্তর্গত। কিন্তু ফুটবলে তারা এশীয় ফুটবল সংস্থার অধীনে। অর্থাৎ ক্লাব থেকে শুরু করে দেশ, এশিয়ার প্রতিযোগিতাতেই খেলে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনও করে এশিয়ার ‘কোটা’ থেকেই।
প্রথম থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল অস্ট্রেলিয়ার পায়ে। আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়াকে দাঁড়াতেই দিচ্ছিল না তারা। আগের ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে চার গোল হজম করেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের ম্যাচেই জিতল। তাদের প্রত্যাবর্তন মনে করিয়ে দিয়েছে শুক্রবারের ইরানকে, যারা প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ছ’গোল খাওয়ার পর হারিয়েছে ওয়েলসকে।
প্রথম থেকেই পাসের বন্যায় তিউনিশিয়াকে বিভ্রান্ত করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন মুয়, ক্রেগ গুডউইনদের দাপটে তখন দিশেহারা অবস্থা তিউনিশিয়ার। প্রতি মুহূর্তে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখছিল তারা। তার মধ্যে থেকেই মাঝে সাঝে তিউনিশিয়ার এক আধটা প্রতি আক্রমণ ছিল। তবে তা নেহাতই নগণ্য।
অস্ট্রেলিয়া একমাত্র গোলটি করে ২৩ মিনিটে। ডিউক বল পেয়ে পাস দেন লেকিকে। লেকির থেকে পাস যায় গুডউইনের কাছে। সেই ফাঁকে দৌড়ে তিউনিশিয়ার বক্সে ঢুকে পড়েন ডিউক গুডউইনের ভেসে আসা ক্রসে হেড করে বল জালে জড়ান তিনি। প্রথমার্ধে আক্রমণ বজায় রাখে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে তিউনিশিয়ার আক্রমণ ছিল অনেকটাই ছন্দবদ্ধ। বিশেষত ম্যাচের শেষ দিকে একটানা আক্রমণ করছিল তিউনিশিয়া। সে সব অজ়িদের মরিয়া ডিফেন্স দেখে মনে হচ্ছিল যে কোনও মুহূর্তে গোল খেয়ে যেতে পারে তারা। তা অবশ্য হয়নি। শেষ পর্যন্ত স্নায়ু ধরে রেখে ম্যাচ বের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy