বিশ্বকাপ ফাইনালে দুরন্ত খেলেছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। গোল বাঁচানোর পাশাপাশি গোল করার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা রয়েছে। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে নায়ক হয়ে উঠেছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। তাঁর দস্তানায় বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু টাইব্রেকার শুধু গোল বাঁচানো নয়, লিয়োনেল মেসিদের গোল করার পিছনেও নাকি ছিলেন মার্তিনেস। সে কথা খোলসা করেছেন দলের আর এক ফুটবলার পাওলো দিবালা।
আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় পেনাল্টি নিতে গিয়েছিলেন দিবালা। সোজা শট মারেন তিনি। ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ায় গোল বাঁচাতে পারেননি তিনি। তাঁকে মার্তিনেসই সোজা মারতে বলেছিলেন। এমনটাই জানিয়েছেন দিবালা।
বিশ্বকাপ জেতার পরে নিজের পেনাল্টি নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন দিবালা। তিনি বলেছেন, ‘‘যখন আমাকে পরিবর্ত হিসাবে নামানো হল তখন আমি জানতাম টাইব্রেকারের কথা মাথায় রেখে নামানো হচ্ছে। তাই যতটা সম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করেছিলাম। আমি যখন পেনাল্টি নিতে যাই তখন বলটা অনেকটা দূরে ছিল। তাই বল আনতে যেতে হয়।’’
সেই সময়ই মার্তিনেসের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দিবালা। তিনি বলেছেন, ‘‘মার্তিনেস আমাকে বলেছিল, সোজা মারতে। কারণ তার আগের পেনাল্টি ওরা ফস্কেছিল। তাই মার্তিনেসের বিশ্বাস ছিল যে লরিস যে কোনও এক দিকে ঝাঁপাবে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম লরিসের বাঁ দিক দিয়ে মারব। সে দিকেই ও ঝাঁপিয়েছিল। কিন্তু মার্তিনেসের কথা মাথায় রেখে শেষ মুহূর্তে সোজা মারি। ও ঠিক কথাই বলেছিল।’’
শুধু তাঁকে নয়, বাকিদেরও মার্তিনেস পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দিবালা। তিনি বলেছেন, ‘‘টাইব্রেকার শুরু হওয়ার আগে যে আমাদের ৫ জনের সঙ্গে কথা বলেছিল মার্তিনেস। লরিস কোন দিকে ঝাঁপাতে পারে, ওর চিন্তাভাবনা নিয়ে নিজের মত দিয়েছিল। মার্তিনেসের পরামর্শ আমরা সব সময় মানি। কারণ, টাইব্রেকারে ওর ধারণা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিলে যায়। ফাইনালেও সেটাই হয়েছে।’’
এ বারের বিশ্বকাপে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন মার্তিনেস। আবার সব থেকে বিতর্কিত গোলরক্ষকও তিনিই। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। ফাইনালও তার ব্যতিক্রম নয়। টাইব্রেকার জিততে নানা রকমের কর্মকাণ্ড করেছেন মার্তিনেস। বিশ্বকাপ ফাইনালের টাইব্রেকারের সময় ক্যামেরায় মার্তিনেসের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি ধরা পড়েছে। বিপক্ষ ফুটবলারদের মনোযোগ নষ্ট করার সব রকমের চেষ্টা করেছেন বিশ্বকাপের সোনার গ্লাভসের মালিক। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও তাঁর অঙ্গভঙ্গি নিয়ে বিতর্ক কমছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy