দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যু সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন পুলিশ কর্তা লুকাস ফারিয়াস। জানালেন, অস্ত্রোপচারের পরে আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি যে বাড়িতে ছিলেন, সেখানে ছিল না কোনও চিকিৎসার সরঞ্জাম।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন মারাদোনা। এর পরেই তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিয়োপোল্দো লিউক, ফিজ়িয়ো অগস্তিনা কোসাকভ ও আর এক জন চিকিৎসক কার্লোস দিয়াসের সঙ্গে দু’জন নার্সের দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলে মারাদোনার পরিবার। তাঁর দুই কন্যা দাবি করেন, মারাদোনার মৃত্যুর জন্য দায়ী চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। মারাদোনার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন আট জন। তাঁদের মধ্যে সাত জনের বিরুদ্ধেই চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে বিচার চলছে বুয়েনস আইরেসের সান ইসিদরো আদালতে। মারাদোনোর মৃত্যুর পর সেখানে প্রথম যে কয়েক জন উপস্থিত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পুলিশ কর্তা লুকাস ফারিয়াস।
তিনি সাক্ষ্য দেওয়ার সময় জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পরে যে বাড়িতে চিকিৎসা হচ্ছিল মারাদোনার, সেখানে চিকিৎসার সরঞ্জামই দেখেননি। আরও বলেছেন, ‘‘মারাদোনার মুখ এবং তলপেট দেখে মনে হচ্ছিল বিস্ফোরণ হবে। ওই অবস্থায় মারাদোনাকে দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম।’’ দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের ৮ থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)