পেনাল্টি বাঁচানোর মুহূর্তে ইংল্যান্ডের জর্ডন পিকফোর্ড। ছবি: রয়টার্স।
ম্যানুয়েল আকাঞ্জি পেনাল্টি নিতে যাওয়ার সময় তৈরি ছিলেন না জর্ডন পিকফোর্ড। সাইডলাইনে জলের বোতল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তাতে রেফারি খানিকটা ক্ষুব্ধও হন। পিকফোর্ডকে তাড়াতাড়ি তেকাঠির নীচে যেতে বলেন। আকাঞ্জির শট বাঁচিয়ে দেন পিকফোর্ড। প্রতিটি পেনাল্টির আগে জলের বোতল মন দিয়ে দেখছিলেন তিনি। তখনও বোঝা যায়নি কেন। পরে বোঝা গেল, জলের বোতলেই লুকিয়ে ছিল পিকফোর্ডের সাফল্যের চাবিকাঠি।
পিকফোর্ডের জলের বোতলে লেখা ছিল সুইৎজ়ারল্যান্ডের কোন ফুটবলারের বিরুদ্ধে কোন দিকে ঝাঁপাবেন তিনি। সেটাই দেখছিলেন পিকফোর্ড। খেলা শেষে তাঁর জলের বোতলের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। সেখানে লেখা ছিল, আকাঞ্জির শটের সময় বাঁ দিকে ঝাঁপাতে। পিকফোর্ড তাই করেন। আকাঞ্জিও সে দিকেই শট মারেন। পিকফোর্ড বাঁচিয়ে দেন।
জ়ারদান শাকিরির শটের ক্ষেত্রেও বোতলের লেখা অনুযায়ী বাঁ দিকে ঝাঁপান পিকফোর্ড। কিন্তু শাকিরি এত সুন্দর পেনাল্টি নেন যে ঠিক দিকে ঝাঁপিয়েও বল ধরতে পারেননি তিনি। একটি ক্ষেত্রে বোতলের নির্দেশ মানেননি পিকফোর্ড। ফ্যাবিয়ান স্কারের ক্ষেত্রে লেখা ছিল, ডান দিকে ঝাঁপানোর ভান করে বাঁ দিকে ঝাঁপাতে হবে। কিন্তু তিনি ঠিক উল্টো করেন। স্কার কিন্তু বোতলের লেখা অনুযায়ী পিকফোর্ডের বাঁ দিকেই মারেন। বোতলের লেখা শুনলে হয়তো সেই পেনাল্টিও বাঁচাতে পারতেন তিনি। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি। প্রথম পেনাল্টি বাঁচিয়ে দলকে জেতান তিনি।
পিকফোর্ডের রেকর্ড পেনাল্টিতে বেশ ভাল। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। পরের বছর নেশনস লিগে তৃতীয় স্থান অর্জনের ম্যাচে সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও একই কাজ করেছিলেন। ২০২১ সালে ইউরো ফাইনালে ইটালির বিরুদ্ধেও দু’টি পেনাল্টি বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের দলের ফুটবলারদের ব্যর্থতায় হারতে হয়েছিল তাঁকে। আরও এক বার টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে জেতালেন পিকফোর্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy