Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
UEFA Euro 2024

বাপ কা বেটা! ৩৩ বছর পরে জার্মানির সেই মাঠেই গোল করে বাবার মতোই উল্লাস স্পেনের মেরিনোর

জার্মানির বিরুদ্ধে স্পেনের জয়সূচক গোল করেছেন মেকিলে মেরিনো। গোলের পরে কর্নার পতাকাকে ঘিরে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই একই ভাবে উল্লাস করেছিলেন মেরিনোর বাবা মিগুয়েল মেরিনো।

cricket

গোল করার পরে মিকেল মেরিনোকে ঘিরে উচ্ছ্বাস স্পেনের ফুটবলারদের। ছবি: রয়টার্স।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ১৯:২৫
Share: Save:

বাঁ প্রান্ত থেকে ড্যানি অলমো যখন বলটি বক্সে ভাসিয়েছিলেন, তখন কেউ হয়তো ভাবেননি অত সহজে গোল করবেন মিকেল মেরিনো। জার্মানির ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে শূন্যে বেশ খানিকটা লাফিয়ে ম্যানুয়েল ন্যুয়েরের থেকে অনেকটা দূর দিয়ে হেডে গোল করেন মেরিনো। তাঁর গোলেই জার্মানিকে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে স্পেন। গোলের পরে কর্নার পতাকাকে ঘিরে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই একই ভাবে উল্লাস করেছিলেন মেরিনোর বাবা মিগুয়েল মেরিনো। ৩৩ বছর আগে। এই একই মাঠে।

মেরিনো যখন গোল করেন তখন হ্যামবুর্গের গ্যালারিতে বসে রয়েছেন তাঁর বাবা। তিনি চোখের সামনে দেখলেন, কী ভাবে নায়ক হয়ে গেলেন পুত্র। মিগুয়েল নিজে কোনও দিন স্পেনের জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। পুত্র পেয়েছেন। সেই সঙ্গে গোল করে দলকে জিতিয়েছেন।

গোল করার পরেই দেখা গেল মেরিনোর সেই উল্লাস। সোজা ছুটে গেলেন কর্নার পতাকার দিকে। পতাকাকে গোল করে কয়েক পাক ঘুরলেন। তত ক্ষণে অবশ্য বাকি সতীর্থরা চলে এসেছেন। তার পরে তাঁদের সঙ্গে উল্লাস শুরু করেন মেরিনো।

পুত্রের এই উল্লাস দেখে বাবা ফিরে গেলেন ৩৩ বছর আগে। ১৯৯১ সালে। ওসাসুনার হয়ে স্টুটগার্টের বিরুদ্ধে উয়েফা কাপের ম্যাচে গোল করে ঠিক এ ভাবেই উল্লাস করেছিলেন মিগুয়েল। তবে তাঁর থেকে পুত্রের কৃতিত্ব অনেক বেশি বলেই মনে করেন তিনি। খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমে মিগুয়েল বলেন, “ও আমাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ওর গোলের গুরুত্ব অনেক বেশি। ও দেশকে জিতিয়েছে। ওকে অনেক ভালবাসা।”

জার্মানির বিরুদ্ধে ষষ্ঠ পরিবর্ত হিসাবে নামানো হয়েছিল মেরিনোকে। নির্ধারিত সময়ে পাঁচ জন পরিবর্ত নামানো যায়। অতিরিক্ত সময়ে আরও এক জন পরিবর্ত নামাতে পারেন কোচ। সেই পরিবর্তই ছিলেন মেরিনো। ১০৮ মিনিটে খেলতে নেমে ১০ মিনিট পরেই স্পেনকে জিতিয়েছেন তিনি। ১০ মিনিট মাঠে থেকেই হয়েছেন স্পেনের নায়ক।

বাবার চোখের সামনে এই কীর্তি করেছেন মেরিনো। দলে নিজের জায়গা আরও পাকা করেছেন। সেমিফাইনালে তাঁকে প্রথম একাদশেও দেখা যেতে পারে। হ্যামবুর্গের মাঠের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ রয়েছে বলেই মনে করেন মেরিনো। তিনি বলেন, “এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ আছে। আমার বাবা এখানে গোল করেছিল। আমিও করেছি। ছোট থেকে বাবার উল্লাসের ভিডিয়ো দেখেছি। তাই গোলের পরেই মনে হয়েছিল বাবার মতো আমিও উল্লাস করব। আমি নিশ্চিত, বাবা আমাকে নিয়ে গর্ব করবে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy