গোল করার পথে ইস্টবেঙ্গলের দীপ সাহা। ছবি: টুইটার
পর পর দু’ম্য়াচে বড় জয়ের পরে বৃহস্পতিবার ভবানীপুর ক্লাবের বিরুদ্ধে পয়েন্ট খোয়াতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ঘরের মাঠে ১-১ গোল খেলা ড্র করল তারা। প্রথমার্ধে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ভবানীপুর। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ১ পয়েন্ট এনে দেন দীপ সাহা।
এই ম্যাচের আগে লিগে পাঁচটি ম্যাচই জিতেছিল ভবানীপুর। পয়েন্ট তালিকায় ইস্টবেঙ্গলের থেকে উপরে ছিল তারা। তাই আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল ভবানীপুরের। খেলা শুরু হতে সেটাই দেখা গেল। জবি জাস্টিন, জীতেন মুর্মু, সুভাষ সিংহেরা ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে চাপে রেখেছিল। ৩১ মিনিটের মাথায় তার ফল পায় ভবানীপুর। বক্সের মধ্যে সুভাষের দৌড় দেখে মাপা ক্রস রাখেন জীতেন। গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসেও রক্ষা করতে পারেননি। ভবানীপুরকে এগিয়ে দেন সুভাষ।
প্রথমার্ধে আরও কয়েক বার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল ভবানীপুর। কিন্তু গোল আসেনি। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তারা। অন্য দিকে প্রথমার্ধে দলের খেলায় খুশি হতে পারেননি লাল-হলুদ কোচ বিনো জর্জ। মাঝেমধ্যেই মেজাজ হারাতে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে।
দ্বিতীয়ার্ধে একটি পরিবর্তন করেন জর্জ। সার্থক গোলুইকে তুলে আগের ম্যাচে গোল করা তন্ময় দাসকে নামান তিনি। ফলে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। দীপ, তুহিন, তন্ময়েরা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন। তার ফল পায় ইস্টবেঙ্গল। ৫৪ মিনিটে সমতা ফেরান দীপ।
সমতা ফেরানোর পরে আক্রমণে ঝাঁঝ আরও বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকেন ফুটবলারেরা। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তাঁরা। দলে বেশ কয়েকটি বদল করেন জর্জ। সব রকম তাস খেলে ফেলেন তিনি। কিন্তু গোল কিছুতেই হয়নি।
৮ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন রেফারি। শেষ মুহূর্তে বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। দীপের শট একটুর জন্য বাইরে যায়। ১-১ গোলে খেলা শেষ হয। এই ম্যাচের পরে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ভবানীপুর। ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ বেশি খেলে দ্বিতীয় স্থানে ইস্টবেঙ্গল। ৭ ম্যাচ খেলে ১৫ পয়েন্ট লাল-হলুদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy