আইএসএলের সুপার সিক্স পর্বে খেলার আশা শেষ হয়ে গেলেও দলের খেলায় খুশি অস্কার ব্রুজ়ো। তবে বেঙ্গালুরুর এফসির বিরুদ্ধে দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস যে ভাবে লাল কার্ড দেখেছেন, তাতে বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল কোচ। ম্যাচের পর রাখঢাক না করেই তা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, রবিবার ১০ জনের ইস্টবেঙ্গল ড্র করেছে বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড।
দল ভাল খেললেও এখনও কয়েক জায়গায় উন্নতির সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন ব্রুজ়ো। তিনি বলেছেন, ‘‘বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ছেলেরা দুর্দান্ত খেলেছে। বিশেষ করে যখন দু’দলেরই ১১ জন ছিল। সে সময় আমাদেরই দাপট ছিল। আমরা প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিলাম। ওদের অর্ধেই খেলা হচ্ছিল। ভাল আক্রমণ তৈরি হচ্ছিল। বলের দখল আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সে সময় প্রচুর সুযোগও তৈরি হয়েছে। আমরা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হত।’’ ব্রুজ়ো আরও বলেছেন, ‘‘শেষ ২৫ মিনিট বেঙ্গালুরু আমাদের বক্সে প্রচুর চাপ তৈরি করেছিল। আমাদের ভাগ্য ভাল, ওদের কয়েকটা শট পোস্টে লেগেছে।’’
দলের খেলায় খুশি ব্রুজ়ো বলেছেন, ‘‘ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত। আমরা এ ভাবে খেলতে পারলে এবং কয়েকটি জায়গায় আর একটু উন্নতি করতে পারলে ভাল কিছু আশা করা যায়। ইস্টবেঙ্গল এখন প্রস্তুত।’’ ব্রুজো বোঝাতে চেয়েছেন তাঁর নজর এখন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে। তিনি বলেছেন, ‘‘এত দিন আইএসএলে সেরা ছয়ে থাকাই ছিল প্রধান লক্ষ্য। আমাদের আশা ছিল, সেরা ছয়ে জায়গা করে নিতে পারব। এখন তা আর সম্ভব নয়। আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য—এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আপাতত চোট-আঘাতের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে তিন জন বিদেশি নিয়ে খেলেছি আমরা। এক জন বিদেশি লাল কার্ড দেখানোর পরও আমরা কোনও বিদেশিকে নামাতে পারিনি। ক্লেটন সিলভা অতিরিক্ত হিসাবে থাকলেও ওকে নামানো সম্ভব ছিল না।’’ আনোয়ার আলির চোট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রুজ়ো।
দিয়ামানতাকোসের লাল কার্ড দেখা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। ব্রুজ়ো বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রথম ছয়ের বাইরে চলে যাওয়ার প্রধান কারণ এক জন ফুটবলারের অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া। এটা কাম্য ছিল না। দল তখন আত্মবিশ্বাসী ফুটবল খেলছিল। আক্রমণ, সুযোগ তৈরি হচ্ছিল। খেলার নিয়ন্ত্রণ ছিল আমাদের কাছে। সমর্থকেরাও উৎসাহ দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল।’’
আরও পড়ুন:
ইস্টবেঙ্গলের পরের প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। হাতে দিন তিনেক সময় থাকায় ব্রুজ়ো মনে করছেন চোট-আঘাত সমস্যা অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যাবে। ফুটবলারদের চোট এবং ক্লান্তি মুক্ত রাখাই লক্ষ্য ব্রুজ়োর। এএফসি লিগের জন্য শক্তি ধরে রাখতে চান তিনি। ছন্দ পেয়ে যাওয়া দলে পরিবর্তনের পক্ষেও নন ব্রুজ়ো।