লাল-হলুদ সমর্থক। —ফাইল চিত্র।
এশিয়ান গেমসে ফুটবলার ছাড়া নিয়ে তর্জা চলছে। জাতীয় দলের কোচ ইগর স্তিমাচ চাইছেন প্রতিযোগিতায় খেলতে নামার আগে বেশ কিছু দিনের ক্যাম্প করতে। কিন্তু সেই সময় আইএসএল চলবে। তাই ফুটবলার ছাড়তে রাজি হচ্ছে না সব ক্লাব। ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত মনে করেন ভারতীয় দলেরও বোঝা উচিত এবং আইএসএলের দলগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।
বুধবার আইএসএলের দলগুলি সাংবাদিক বৈঠক করে। সেখানে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়ার প্রসঙ্গে লাল-হলুদ কোচ কুয়াদ্রাত বলেন, “সূচি পেয়েছি। খুব ভাল সূচি। ভারতীয় দলে কারা আছে সেটা জানি। জাতীয় দলের সঙ্গে স্পষ্ট করে কথা হয়েছে। আমরাও তালিকা পাঠিয়েছি। ওদেরও আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।”
নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে ভারতীয় ফুটবলারদের ক্লাব থেকে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন কোচ স্তিমাচ। ভারতীয় ফুটবল দল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে এবং এএফসি এশিয়ান কাপে খেলবে। সেই কারণেই প্রস্তুতির জন্য সুনীল ছেত্রিদের ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন কোচ। আইএসএলের ক্লাবগুলির কাছে টুইট করে খোলা চিঠি দিয়ে এমন আবেদন করেছিলেন স্তিমাচ। এমন ঘটনা এর আগে ভারতীয় ফুটবলে দেখা যায়নি।
মরসুমের শুরুতেই ডুরান্ড কাপের ফাইনাল খেলে ইস্টবেঙ্গল। যদিও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে হেরে যায় তারা। কুয়াদ্রাত বলেন, “অনেকগুলো জায়গায় আমাদের উন্নতি প্রয়োজন। সেই অনুশীলন শুরু হয়েছে। ডুরান্ড কাপে মাত্র ছ’টা ম্যাচ খেলেছি। এ বার প্রায় ২৫টা ম্যাচ খেলতে হবে। অনেক কাজ বাকি। ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলেছেন মাত্র তিন বছর। এ বারে আমরা খেলার ধরন বদলাতে চাই। আমাদের প্রচুর সমর্থক রয়েছে। ক্লাবের একটা ইতিহাস রয়েছে। সমর্থকদের একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। চেষ্টা করব এ বার এটা বদলাতে। তবে এখনই বলতে পারব না, আইএসএলে আমরা কত নম্বরে শেষ করব। অনেকগুলো শক্তিশালী দল আছে।”
সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন নন্দকুমার, ক্লেটন সিলভা এবং গুরসিমরত সিংহ গিল। ডুরান্ডে গ্রুপ পর্বে কলকাতা ডার্বিতে গোল করেছিলেন নন্দকুমার। সমর্থকদের ভালবাসার পাত্র হয়ে উঠেছেন তিনি। নন্দ বলেন, “ডুরান্ডে খেলতে নামার আগে অনুশীলনের জন্য খুব একটা সময় পাইনি আমরা। তবুও দল ভাল খেলেছে। যখন প্রথম বার সই করেছিলাম ইস্টবেঙ্গলে, জানতাম না ক্লাবের এত বড় ঐতিহ্য রয়েছে। অসংখ্য সমর্থকের সামনে খেলতে নেমে বেশ চাপ লাগছিল। ওড়িশার হয়ে খেলার সময়ও দেখেছিলাম লাল-হলুদের অসংখ্য সমর্থক রয়েছে। ডার্বিতে গোল করে খুব আনন্দ হয়েছিল। অনেক বছর পর ডার্বিতে জিতে সমর্থকরাও খুশি হয়েছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy