৩৪ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে জার্মান লিগে এক নম্বর দল বায়ার্ন। তাদের গোলপার্থক্য ৫৪। ছবি: রয়টার্স
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশের দুই প্রান্তের দুই মাঠে লড়াই। নাটকের পর নাটক। নায়ক থেকে খলনায়ক হয়ে ওঠা। সব শেষে বুন্দেশলিগা জিতল বায়ার্ন মিউনিখ। এই নিয়ে টানা ১১ নম্বর ঘরোয়া ট্রফি। শেষ দিনে ট্রফি পেতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে জিততেই হত। বায়ার্নেরও জয় দরকার ছিল। কোলনকে ২-১ হারিয়ে বায়ার্ন নিজেদের কাজ করতে পারলেও, মেঞ্জের বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করে ডর্টমুন্ড নিজেরাই ট্রফি উপহার দিল মিউনিখের দলটিকে। দু’দলের পয়েন্ট সমান হলেও গোলপার্থক্যে ডর্টমুন্ডকে টেক্কা দিল বায়ার্ন।
দুই দল শেষ দিন পর্যন্ত ট্রফির লড়াইয়ে ছিল। তাই শনিবার জার্মানির ঘরোয়া লিগের সব খেলা শুরু হয়েছিল একই সময়ে। বিপক্ষ কোলনের বিরুদ্ধে আট মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। তাদের উল্লাস দ্বিগুণ করে দিয়ে ১৫ মিনিটে ওলসেনের গোলে মেঞ্জের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ে ডর্টমুন্ড। করিম ওনিসোয়োর গোলে ০-২ পিছিয়ে পড়ে তারা। কোলনের মাঠে তখন বায়ার্ন সমর্থকদের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে।
৬৯ মিনিটে ডর্টমুন্ডের হয়ে একটি গোল করেন রাফায়েল গুয়েরেরো। তার পরেই ৮১ মিনিটের মাথায় গোল খেয়ে যায় বায়ার্নও। কিন্তু ৮৯ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার গোল বায়ার্ন সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ফিরিয়ে আনে। ডর্টমুন্ডের হয়ে ইনজুরি টাইমে নিকলাস সুলে গোল করে ড্র করলেও জিততে পারেনি তারা। অন্য মাঠে বায়ার্ন জেতায় গোলপার্থক্যে তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়।
CHAMPIONS! ❤️ @FCBayern claim their spot at the top of the Bundesliga mountain once more! 🏆 pic.twitter.com/WBJFhh83xH
— Bundesliga English (@Bundesliga_EN) May 27, 2023
৩৪ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে জার্মান লিগে এক নম্বর দল বায়ার্ন। তাদের গোলপার্থক্য ৫৪। ৩৪ ম্যাচে সমান পয়েন্টে থাকা ডর্টমুন্ডের গোলপার্থক্য ৩৯। ট্রফির পার্থক্য গড়ে দিল এটাই। ২০১২ সালে ডর্টমুন্ড জার্মান লিগ জিতেছিল জুরগেন ক্লপের কোচিংয়ে। তারপর থেকে প্রতি বার বায়ার্ন এই ট্রফি পেয়েছে। ডর্টমুন্ড রানার্স-আপ হয়েছে ৭ বার। তবে এ বারের মতো লড়াই আগে হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy