ছন্দে: শুক্রবার গোলের পরে রবার্ট লেয়নডস্কি। গেটি ইমেজেস
বুন্দেশলিগা
বায়ার্ন ১ মনশেনগ্ল্যাডবাখ ২
করোনা সংক্রমণে প্রবল সঙ্কটে বার্সেলোনা। মাঠে নেমেও স্বস্তি মিলল না জ়াভির প্রশিক্ষণাধীন দলের। শনিবার লা লিগায় গ্রানাদার বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও জয় পেল না দানি আলভেসরা। ম্যাচ শেষ হল ১-১।
গ্রানাদার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে কোনও গোল পায়নি বার্সা। ৫৭ মিনিটে ডান দিক থেকে ওভারল্যাপে এসে গ্রানাদা বক্সে বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন আলভেস। সেই বল লক্ষ্য করে লাফিয়ে হেডে বার্সাকে এগিয়ে দিন লুক দে ইয়ং। এর পরে আত্মবিশ্বাসী মেজাজেই খেলছিলেন সের্খিয়ো বুস্কেৎসরা। কিন্তু ৭৯ মিনিটে মাঝমাঠে বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে দ্বিতীয় বার হলুদ কার্ড দেখায় মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় গ্যাভিকে। যার ফলে ১০ জনের হয়ে পড়ে বার্সা। ম্যাচের শেষ লগ্নে কর্নার থেকে আসা বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় বার্সা রক্ষণ। সেই সুযোগে গ্রানাদার হয়ে সমতা ফেরান আন্তোনিয়ো পুয়ের্তাস। এই ড্রয়ের ফলে ২০ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ছ’নম্বরে থাকল বার্সা।
বার্সেলোনার মতো শুক্রবার হারতে হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখককে। বুন্দেশলিগায় রবার্ট লেয়নডস্কিদের বিরুদ্ধে ২-১ জিতেছে বরুসিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখ। ১৮ মিনিটে পোলিশ তারকার গোলে ১-০ এগিয়েও শেষরক্ষা হয়নি।
এই মুহূর্তে কোভিডে জর্জরিত বায়ার্ন শিবির। ম্যানেজার ইউলিয়ান নাহেলসমান প্রথম দল নামাতে পারেননি। তাঁর দলের ন’জন ফুটবলার এই মুহূর্তে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে রয়েছেন আইসোলেশনে। আরও তিন জন আহত। তবুো লেয়নডস্কি প্রথম একাদশে থাকায় আশা করা গিয়েছিল শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাট ছাড়তে পারবে বায়ার্ন। কিন্তু তা হয়নি।
প্রথমার্ধের মাঝামাঝি বক্সের মাথা থেকে জোরালো শটে গোল করেন লেয়নডস্কি। যা এ বারের লিগে তাঁর ২০ নম্বর। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে চার মিনিটের মধ্যে গ্ল্যাডবাখ দু’টি গোল করে দেয়। ২৭ মিনিটে ১-১ হয় ফ্লোরিয়ান নহাসের ভলিতে। কর্নার থেকে হেডে ২-১ করেন স্টেফান লেনার।
ম্যাচের পরে বায়ার্ন ম্যানেজার বলেছেন, “এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যে পড়তে হবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি। এই হার নিয়ে আমি কোনও নেতিবাচক মন্তব্য করতে চাই না।”
দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ফুটবলার থোমাস মুলার বলেছেন, “হারটা কাম্য ছিল না। তবে করোনার জন্য শিবিরের যা চেহারা দাঁড়িয়েছে, তার পরে এই হারকে খুব বড় করে দেখার প্রয়োজন নেই।” তিনি যোগ করেছেন, “এই হারের ধাক্কা সামলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং সেটা কী ভাবে সম্ভব, তা বায়ার্ন মিউনিখের প্রত্যেকটি ফুটবলার জানেন। আমি বলব, ঠিক সময়ে হেরে গিয়ে আমরাও আরও সতর্ক হওয়ার একটা ভাল সুযোগ পেয়ে গেলাম।” তিনি আরও বলেছেন, “গোল করার মতো প্রচুর সুযোগ আমাদের এসেছিল, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারিনি। আশা করি, আগামী ম্যাচে এ রকম ভুল হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy