মোহনবাগান ফুটবলারদের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ খেলার স্বপ্ন ধাক্কা খেল। ছবি: সমাজমাধ্যম।
ট্র্যাক্টর এফসি-র বিরুদ্ধে ইরানির তাবরিজ়ে খেলতে যায়নি মোহনবাগান। তার ‘শাস্তি’ পেতে হল ক্লাবকে। প্রতিযোগিতা থেকে ‘বাদ’ দিয়ে দেওয়া হয়েছে গত বারের আইএসএলের লিগ শিল্ড জয়ীদের। এএফসি জানিয়ে দিয়েছে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তাই মোহনবাগানের সব গোল ও পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছে। তাদের খেলা ম্যাচ বাতিল হিসাবে ধরা হবে। সরাসরি মোহনবাগানকে বাদ দেওয়ার কথা এএফসি না জানালেও তাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে সবুজ-মেরুন।
সোমবার এএফসি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২ অক্টোবর ইরানের তাবরিজ়ে ট্র্যাক্টর এফসির বিরুদ্ধে খেলা ছিল তাদের। সেখানে তারা খেলতে যায়নি। তাই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ৫.২ ধারা অনুযায়ী ধরে নেওয়া হয়েছে যে মোহনবাগান এই প্রতিযোগিতা থেকে তাদের নাম তুলে নিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিযোগিতার নিয়মের ৫.৬ ধারা অনুযায়ী, এই প্রতিযোগিতায় মোহনবাগান এখনও পর্যন্ত যতগুলি ম্যাচ খেলেছে সবগুলি বাতিল হিসাবে ধরা হচ্ছে। তাই ৮.৩ ধারা অনুযায়ী, গ্রুপ এ-র পয়েন্ট তালিকা হিসাব করার সময় মোহনবাগানের পয়েন্ট বা কোনও গোল হিসাব করা হবে না। ফলে গ্রুপটি এখন তিন দলের ধরা হবে। তবে এখনও একটি আশা রয়েছে সবুজ-মেরুনের। এএফসি-র এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কমিটির অধীনে যাবে। তারা যদি বিবেচনা করে যে মোহনবাগানের ইরানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত যথাযথ, তা হলে সিদ্ধান্তে বদল হলেও হতে পারে। তবে সেই সম্ভাবনা খুব কম।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ ছিল রাভশান এফসির বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ ড্র হয়েছিল। ২ অক্টোবর ট্র্যাক্টর এফসির বিরুদ্ধে খেলা ছিল বাগানের। তার আগের রাতে ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে মিসাইল আক্রমণ করে ইরান। সে দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় ভারত-সহ বেশির ভাগ দেশের সরকারই তাদের জনগণকে ইরানে যেতে বারণ করে। মোহনবাগানের বেশির ভাগ বিদেশি অস্ট্রেলিয়ার। সে দেশের তরফে ইরানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক খেলোয়াড় এবং তিন কোচিং স্টাফ স্পেনের। বাকিরা স্কটল্যান্ড এবং পর্তুগালের। সব দেশের তরফেই ইরানে না যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
বুধবারের ম্যাচের এক দিন আগে ৩৫ জন ফুটবলার স্বাক্ষর করা চিঠি দিয়ে ক্লাবকে জানান, এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ইরান যাওয়া সম্ভব নয়। মোহনবাগানের তরফে সেই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয় এএফসি-সহ বিদেশ মন্ত্রক ও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে। একই সঙ্গে আবেদন করা হয়, ম্যাচের দিন পরিবর্তন অথবা নিরপেক্ষ কেন্দ্রে তা আয়োজন করার জন্য। তবে মোহনবাগানের চাপ বাড়ায় অন্য একটি বিষয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটে সোমবার রাতে পার্সেপোলিসের বিরুদ্ধে খেলে পাখতাকোর। একই দিনে এসিএল ২-এ খেলা হয় সেপাহান এবং ইস্তিকললের। দু’টি ম্যাচই হয় ইরানের তেহরানে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির খুব একটা প্রভাব পড়েনি কোনও ম্যাচেই। সেই কারণেই কি মোহনবাগানের আবেদন খাটল না? বাদ পড়তে হল তাদের?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy