জাগলিংয়ে ব্যস্ত মনোজ। ইন্টারনেটে গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডের পেজে নাম মনোজের। (ইনসেটে)। নিজস্ব চিত্র।
ছোট থেকেই ফুটবল নিয়ে দৌড়নোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি। খেলতে গিয়েই পায়ে চোট পেয়ে দৌড় থেমে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু ফুটবল তো তাঁর জীবন। তাই এত সহজে হাল ছাড়েননি তিনি। পায়ের বদলে মাথায় নাচাতে শুরু করলেন ফুটবল। আর সেই জাগলিং-ই তাঁকে ঠাঁই দিয়েছে গিনেস বুক অফ রেকর্ডস-এ।
তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার তিলাগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মনোজ মিশ্র। মাথায় ফুটবল নিয়ে একটানা প্রায় ৪৯ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে নাম তুলেছেন বিশ্ব রেকর্ডের খাতায়। গিনেস কর্তৃপক্ষের নিয়ম মেনে চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি কলকাতার তালতলার মাঠে মনোজ মাথায় ফুটবল নিয়ে ১৪৯ বার হেঁটে ৪৯.১৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন। তারই ফলস্বরূপ এই স্বীকৃতি। গত ৭ জুলাই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষই ইমেলে রেকর্ডের কথা জানানো
হয়েছে মনোজকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে ছোট মনোজ ছেলেবেলা থেকেই ফুটবল পাগল। বড় হয়ে ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু অভাবের সংসারে সে স্বপ্ন ছিল বিলাসিতারই নামান্তর। দরিদ্র পরিবারে সংসার চালানোর ভরসা বলতে বাবার যজমানগিরি। পেটের দায়ে মাধ্যমিক পাশের পরই রোজগারের জন্য গুজরাত চলে যেতে গয় মনোজকে। সেখানে প্লাস্টিক কারখানায় প্রতিদিন কাজে যাওয়ার আগে সকালে ফুটবল অনুশীলন করতেন মনোজ। এরপর ২০০৩ সালে মুম্বইয়ে বাচ্চাদের ফুটবল শেখানোর কাজ করতেন। আর নিজে প্রতিদিন শিবাজী পার্কে ফুটবল অনুশীলন করতেন।
কিন্তু ছন্দপতন ঘটে পায়ে চোট লাগায়। কিন্তু এত সহজে হাল ছাড়ার মানুষ তো তিনি নন। নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন ফুটবল জাগলিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার। বছর পঁয়ত্রিশের মনোজের কথায়, ‘‘পেলে,মারাদোনাকে দেখে আমিও ছোটবেলা থেকে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। পায়ে চোট পাওয়ার পর এক বন্ধুর পরামর্শে ফুটবল জাগলিং শুরু করি। সেই জাগলিং-ই আমাকে এমন সম্মান দিল।’’
তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেছে মনোজের। এখন তাঁর পেশা বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে ফুটবল নানা কসরত দেখানো। বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী ও চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সংসার তাঁর। একটা স্থায়ী চাকরির পাওয়ার জন্য সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যের সঙ্গে দেখা করে আর্জি জানিয়েও এসেছেন। মনোজের কথায়, ‘‘ মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি একটা সুরাহা হবেই। তাহলে ফুটবল নিয়ে আমার আরও কিছু স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।’’
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে জ্বলজ্বল করছে স্বামীর নাম। কেমন লাগছে? মনোজের স্ত্রী ঝর্নাদেবীর উত্তর, ‘‘বরাবরই ফুটবল পাগল ও। কিন্তু সেটাই এমন সম্মান এনে দিলে আমার আর কী কিছু
বলা সাজে?’’
কর্মশালা। মৎস্যজীবীদের নিয়ে তিনদিনের এক কর্মশালা শুক্রবার কাঁথিতে শেষ হল। দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের উদ্যোগে তিনদিনের এই কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হল কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী ইউনিয়নের কার্যালয়ে। তটাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ বিধি, জাতীয় মৎস্যনীতি, মৎস্য রক্ষায় জীব বৈচিত্র-সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সভাপতি প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক মিলন দাস, মৎস্য ভেন্ডার ইউনিয়নের সুজয় জানা ও কাঁথি মহকুমা খটি ইউনিয়নের সভাপতি তমালতরু দাস। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মৎস্যজীবীরা উপস্থিত ছিলেন কর্মশালায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy