Advertisement
E-Paper

Euro 2020: হ্যারি কেনদের খেলা দেখতে গিয়ে চাকরি খুইয়ে বসলেন ইংল্যান্ডের নিনা

কোনও মতে সেমিফাইনালের টিকিট জোগাড় করেছিলেন নিনা।

 আনন্দে আত্মহারা নিনা

আনন্দে আত্মহারা নিনা ইন্সটাগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২১ ২০:১১
Share
Save

৫৫ বছর পর কোনও বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। আনন্দে আত্মহারা ইংরেজ জনতা। ব্যতিক্রম নন ইংল্যান্ডের ফুটবল পাগল সমর্থক নিনাও। তবে পাশাপাশি ঘোর সমস্যায় পড়েছেন তিনি।

ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনাল খেলা দেখতে গিয়ে নিনা চাকরি খুইয়ে বসেছেন। জানতেন, খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য ছুটি পাবেন না। তাই অফিসে মিথ্যে বলেছিলেন। শরীর খারাপ হয়েছে বলে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ধরা পড়ে যেতেই তাঁকে বরখাস্ত করেছে তাঁর দপ্তর।

এক বন্ধুর সাহায্যে কোনও মতে সেমিফাইনাল খেলার একটা টিকিট জোগাড় করেছিলেন নিনা। সব ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎই টেলিভিশনে নিনাকে ওয়েম্বলির দর্শক আসনে বসে থাকতে দেখেন তাঁর অফিসের এক কর্তা। বিপদ আরও বাড়ে যখন টেলিভিশন উপস্থাপিকা স্টেস দুলির ইনস্টাগ্রামেও দেখা যায় নিনার ছবি।

স্টেডিয়ামে উল্লাস নিনাদের

স্টেডিয়ামে উল্লাস নিনাদের ইনস্টাগ্রাম

এরপর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি নিনার অফিসের কর্তারা। তাঁকে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়। তবে খুব একটা হেলদোল নেই নিনার। চাকরি চলে গেলেও ফুটবল নিয়েই মেতে রয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘এ ভাবে চাকরি খোয়াতে হওয়ায় খারাপ লাগছে। তবে আমরা ফাইনালে উঠেছি, এটা ভাবলেই দারুণ লাগছে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে আমি উড়ছি। আমার বন্ধু জানত, আমি খেলা দেখার জন্য সব করতে পারি। ওই আমায় টিকিট জোগাড় করে দেয়।’’

১৯৯৬ সালে যখন জার্মানির কাছে ইউরোর সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিতে হয় ইংল্যান্ডকে, তখন ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন নিনা। সেবার গ্যারেথ সাউথগেট টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় হারতে হয় ইংল্যান্ডকে। আর আজ সেই সাউথগেটের মস্তিষ্কের জোরে নতুন স্বপ্ন দেখছে গোটা ইংল্যান্ড। নিনাও তার ব্যাতিক্রম নন। তিনি বলেন, ‘‘১৯৯৬ সালে হারের পর মায়ের কোলে বসে খুব কেঁদেছিলাম। ফুটবলই আমার জীবন। এমন সুযোগ তাই হাতছাড়া করতে চাইনি। চলে গিয়েছিলাম খেলা দেখতে।’’

ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও ডেনমার্ক অধিনায়ক সিমন কায়েরের আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। আর সেই সময় আনন্দ করতে করতে টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়েন তিনি। এরপর ম্যাচ শেষে দুলির ইনস্টাগ্রামেও একই ভাবে আনন্দ করতে দেখা যায় তাঁকে। এতেই সমস্যায় পড়েন নিনা। তিনি বলেন, ‘‘অফিস থেকে আমায় যেতে বারণ করেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসছে। তারা বলছে আমায় তারা টেলিভিশনে দেখেছে। আমি সারা বিশ্বে খবর হয়ে গিয়েছি।’’

স্টেডিয়ামের বাইরে নিনা ও তাঁর বন্ধু

স্টেডিয়ামের বাইরে নিনা ও তাঁর বন্ধু ইনস্টাগ্রাম

instagram England Denmark Harry Kane Euro Cup 2020

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}