লাল-হলুদ ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক সম্মেলনে সুভাষ ভৌমিক পাশে খালিদ জামিল। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
ফিরলেন সুভাষ। ফেলে আসা জৌলুস ফিরবে কি ইস্টবেঙ্গলের খেলায়? প্রশ্নটা লাখো লাখো লাল-হলুদ সমর্থকের মনে ঘোরাফেরা করলেও উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা সময়।
ভবিষ্যতে যাই হোক, মঙ্গলবার খালিদের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন সুভাষ ভৌমিক। নতুন ইনিংস শুরুর আগে লাল-হলুদ তাঁবুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুভাষ এ দিন বলেন, “খালিদই প্রধান কোচ। আমি ওর সহযোগী। দল গঠনের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ ভূমিকা থাকবে খালিদেরই, ২০ শতাংশ ভূমিকা থাকবে আমার।”
তবে, তাঁর কাছে ইস্টবেঙ্গলকে পুরনো ছন্দে ফেরানো যে চ্যালেঞ্জিং তা-ও এ দিন মেনে নেন সুভাষ। তিনি বলেন, “ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আমার ফুটবল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল। এই ক্লাবেই কোচ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছি। ইস্টবেঙ্গলে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। তবে, এ বারেরটা অন্যতম চ্যালেঞ্জিং।”
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলে থেকে গেলেন খালিদ, মাথার উপরে সুভাষ
আরও পড়ুন: অঞ্জন মিত্রের দিকে আঙুল, মোহনবাগান থেকে ইস্তফা সৃঞ্জয়দের
এ দিন খালিদের ফুটবল বুদ্ধির পাশাপাশি কোচ খালিদেরও প্রশংসা করেন ময়দানের ‘ভোম্বলদা’। তিনি বলেন, “আমি আমার কোচিং কেরিয়ারে ওর বিরুদ্ধে খেলেছি। আইলজকে আই লিগ দিয়েছে ও।”
বৈঠকে ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্রের সঙ্গে অন্যান্য সদস্যরা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
পাশাপাশি, ইস্টবেঙ্গলের আই লিগ ব্যর্থতার কারণে বার বার খালিদকে কাঠগোড়ায় তোলার বিরোধিতাও করেন আশিয়ান জয়ী কোচ। তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছর ধরে বহু নামী দেশি-বিদেশি কোচ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে কোচিং করিয়েছে। আজ খালিদের সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু তাঁরাও তো বিফল হয়েছিলেন।”সুভাষ ভৌমিককে অবলম্বন করে ইস্টবেঙ্গলে যখন ফিরে আসার সুর তখন, এ দিন মোহনবাগানের দুই শীর্ষ কর্তা দেবাশিষ দত্ত এবং সৃঞ্জয় বসু পদত্যাগ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র। তিনি বলেন, “সৃঞ্জয় বসু এবং দেবাশিষ দত্তের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়নি। আগামী সময়ে আমরা এগ্জিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ডাকব। সেই বৈঠকে ডাকা হবে সৃঞ্জয় বসু এবং দেবাশিষ দত্তকেও। সেখানেই তাঁদের সমস্যাগুলি শোনা হবে। এবং তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy