এনরিকে হাসি ফোটালেন লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে। ছবি: কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের ফেসবুক পেজ থেকে।
ইস্টবেঙ্গল ১ মিনার্ভা ০
(এনরিকে)
মোক্ষম সময়ে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিলেন এনরিকে এসকুয়েদা। ৭৬ মিনিটে তিনি আঘাত হানেন। এনরিকের গোলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মুখে খেলা করছে হাজার ওয়াটের আলো।
রবিবাসরীয় পঞ্চকুলায় ইস্টবেঙ্গল-মিনার্ভা পঞ্জাব ম্যাচ লাল-হলুদ ব্রিগেডের কাছে কার্যত সেমিফাইনাল। প্রথমার্ধের খেলা শেষ। কোনও দলই এখনও গোল করতে পারেনি। ম্যাচের দখল ইস্টবেঙ্গল শুরুর দিকে নিলেও মিনার্ভাও গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। ভাগ্য ভাল বলতে হবে লাল-হলুদ-এর। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা গোল পেয়ে গেলে চাপে পড়ে যেত ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ শিবিরও মিনার্ভার গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। হাইমে কোলাডোর হেড মিনার্ভার বার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। এই ম্যাচ লাল-হলুদ শিবিরের কাছে কার্যত সেমিফাইনাল। মিনার্ভাকে মাটি ধরালে পরের ম্যাচ পর্যন্ত বেঁচে থাকবে ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্ন।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মেনেনদেজ দুটো বদল এনেছেন দলে। রক্ষণে সালাম রঞ্জন সিংহ ও টিন ডোভালে। আগের ম্যাচে নেরোকাকে হারিয়েছিল মিনার্ভা। সেই ম্যাচের দল থেকে মিনার্ভা কোচ সচিন তিনটি পরিবর্তন এনেছেন।
শুরুতে মিনার্ভা ঝাঁপিয়ে পড়লেও ইস্টবেঙ্গল ধীরে ধীরে ম্যাচের দখল নিতে শুরু করেছে। মিনার্ভা পঞ্জাব লাল-হলুদ ঝড় সামলাতে ব্যস্ত। কোস্তা রিকান বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্তা রক্ষণকে নেনতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি আক্রমণেও উঠছেন।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন জুগিয়েছেন প্লাজা, কাল ইস্টবেঙ্গলের ভয় আমনাকে
১৭ মিনিট: মিনার্ভা গোলকিপার আরশদীপ গোললাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন না। আগে থেকেই তা দেখে নিয়েছিলেন ড্যানমাইয়া। বিপক্ষ গোলকিপার লাইনে দাঁড়িয়ে না থাকায় প্রায় ৫০ গজ দূর থেকে ড্যানমাইয়া মিনার্ভার গোল লক্ষ্য করে শট নেন। বিপদ বুঝে পিছিয়ে যান আরশদীপ। কোনওরকমে ড্যানমাইয়ার শট বাঁচান।
২৪ মিনিট: ম্যাচের গতির বিরুদ্ধে হঠাৎই আক্রমণ মিনার্ভার। আল আমনাকে লক্ষ্য করে বাড়ানো হয়েছিল বল। বিপজ্জনক হতে পারত এই মুভ। কিন্তু সতর্ক ছিলেন অ্যাকোস্তা। তিনি সে যাত্রায় নষ্ট করেন মিনার্ভার আক্রমণ।
৩০ মিনিট: ম্যাচের তিরিশ মিনিট অতিক্রান্ত। কোনও দলই গোল করতে পারেনি। হাইমে কোলাডোর ফ্রি কিক মিনার্ভার মানব প্রাচীরে প্রতিহত হয়। বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
৩১ মিনিট: এগিয়ে যেতে পারত মিনার্ভা। চুলোভার ভুলে গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন কোয়েরো। তাঁর চেষ্টা ইস্টবেঙ্গলের পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। গোলটা হয়ে গেলে এগিয়ে যেত মিনার্ভা।
৪০ মিনিট: এ বার ইস্টবেঙ্গলের চেষ্টা প্রতিহত হল মিনার্ভার বারে। টনি ডোভালে দুরন্ত সেন্টার রেখেছিলেন হাইমে কোলাডোর জন্য। হাইমের হেড মিনার্ভার বার কাঁপালেও গোল হয়নি।
৪৫ মিনিট: প্রথমার্ধের খেলা শেষ। গোলের সুযোগ দু’ দল পেলেও গোল হয়নি এখনও। দু’ পক্ষকেই বঞ্চিত করেছে গোলপোস্ট ও বার। পরের হাফে দু’ দলই রণনীতি বদলাবে। ইস্টবেঙ্গল গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে।
৭০ মিনিট: এখনও পর্যন্ত গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। জবি জাস্টিন নেই। তাঁর অভাব অনুভূত হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল পরিবর্তন এনেছে দুটো। টনি ডোভালেকে তুলে নিয়েছেন আলেসান্দ্রো। তাঁর বদলে নেমেছেন ব্র্যান্ডন। অন্যদিকে কমলপ্রীতের জায়গায় মাঠে এসেছেন সামাদ।
৭৫ মিনিট: ইস্টবেঙ্গলের আশা জিইয়ে রাখলেন এনরিকে এসকুয়েদা। তাঁর গোলে এগিয়ে গেল লাল-হলুদ শিবির। সেই সঙ্গে সমর্থকদের মনেও আশার আলো জ্বাললেন মেক্সিকান স্ট্রাইকার।
৯০ মিনিট: চেন্নাই সিটির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ইস্টবঙ্গল। এই ম্যাচে জেতার ফলে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত আশা জিইয়ে থাকল ইস্টবেঙ্গলের। এই ম্যাচ জেতার ফলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট এখন ১৯ ম্যাচে ৩৯। চেন্নাই ঠিক এক পয়েন্টে এগিয়ে লাল-হলুদের থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy