ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুকে সহজেই হারিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে চলে যাওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু হল উল্টোটা। হেরে বসল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দল। শনিবার বারাসত স্টেডিয়ামে অনেক নেইয়ের মধ্যেই দল গুছিয়ে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। নেই নেই আর নেই। সৌমিক, রবার্ট, খাবরারা ছিলেন না। কিন্তু যা ছিল বিশ্বজিতের হাতে সেটাও কম কি? লেফটব্যাকে এদিন ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে শুরু করলেন নারায়ন দাস। দেশের জার্সিতে তিনি এখন নিয়মিত। রাইটব্যাকে দলে ফিরলেন সামাদ আলি। ডার্বি ম্যাচের দলে তিনটি পরিবর্তন করলেন লাল-হলুদ কোচ। শুরুতেই বক্সের বাইরে এসে বল ধরতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার রেহনেশ।
শুরুটা খারাপ করেনি ইস্টবেঙ্গল। শুরুর দিকে আক্রমণে বেশি উঠছিল ইস্টবেঙ্গলই। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হন র্যান্টি, ডংরা। গোলের সামনে গিয়ে বার বার খেই হারালেন রফিক, জোয়াকিমরা। বেঙ্গালুরুর তিনকাঠি প্রথম সামলাতে নেমে ইস্টবেঙ্গলকে বেশ কয়েকবার রুখে দিলেন আইএসএল-এর সেরা ভারতীয় গোলকিপার। ইস্টবেঙ্গল গোলের নিচে রেহনেশও বেশ কয়েকবার মান বাঁচালেন ইস্টবেঙ্গলের। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য জ্বলে উঠলেন সুনীলরা। ৬০ মিনিটে গোলের মুখ খুলে ফেললেন সুনীল ছেত্রী। তার আগেই সামাদকে তুলে রাহুল ভেকেকে নামিয়েছিলেন কোচ। তাঁকে ঘারে নিয়েই কাজের কাজটি করে গেলেন ছেত্রী। এর পরের প্রায় পুরোটাই ইস্টবেঙ্গলের ছন্নছাড়া ফুটবল।
অন্যদিকে এএফসি কাপের পর আই লিগের ম্যাচেও বাজিমাত মোহনবাগানের। দুই হাফে দুই গোল করে মোহনবাগানকে জয় এনে দিলেন সনি নর্ডি। ঘরের মাঠে দাঁড়াতেই পারল না আই লিগের নবাগত ডিএসকে শিবাজিয়ান্স। রালতের লাল কার্ডে শেষ ১৫ মিনিট ১০ জনে খেলতে হল শিবাজিয়ান্সকে। নিশ্চিত গোল নষ্ট করলেন ইজরায়েল গুরুং। রফির হেড মোহনবাগান গোলকিপার দেবজিত মজুমদারের হাতে লেগে পোস্টে ধাক্কা খেয়ে ফিরে এলে সেই ফিরতি বলেই শট নিয়েছিলেন ইজরায়েল। ক্রসবার ছুঁয়ে বেড়িয়ে যায় সেই বল।
১২ মিনিটেই মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন সনি। তাঁর আগেই নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেন ব্রেন্ডন। দ্বিতীয়ার্ধ ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে শুরু করে ৫৩ মিনিটেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেন সেই সনি। তার আগেই ভাল জায়গায় ফ্রিকিক পেয়েও গোলে রাখতে পারেননি তিনি। তার দু’মিনিটের মধ্যেই অবশ্য ২৫ গজ দুর থেকে সনির মাপা শট সরাসরি চলে যায় ডিএসকে-র গোলে। মিসের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললেন মোহনবাগানের জেজে, কর্ণেলরা। একরাশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বিদেশের মাটিতে এএফসি কাপ খেলতে গেল সঞ্জয় সেন অ্যান্ড ব্রিগেড।
আরও খবর: মোহনবাগানের দাবি মেনে ম্যাচের সময় পরিবর্তন করল ফেডারেশন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy