ইস্টবেঙ্গলকে বাঁচালেন হুয়ান। —ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গল ১ পঞ্জাব এফসি ১
(হুয়ান) (দানিলো)
এক সময়ে লাল-হলুদ জার্সিতে সমর্থকদের নয়নের মণি ছিলেন গুরবিন্দর সিংহ। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের স্তম্ভ ছিলেন তিনি। শনিবার পুরনো দলের খেলা দেখার জন্য দু’ ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে জলন্ধর থেকে লুধিয়ানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ১৬ নম্বর জার্সিধারী। দিনান্তে তাঁর গলায় হতাশা। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন অধিনায়ক বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে মন ভরল না। পঞ্জাব এফসি-র সঞ্জু (প্রধান) ও কেভিন (লোবো) মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করল। ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ দেখে বুঝতেই পারলাম না ওদের কী পরিকল্পনা।’’
আই লিগে দুটো ম্যাচ খেলা হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। এখনও জয়ের মুখ দেখল না আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজের ছেলেরা। প্রতিটি ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করা ভাবাচ্ছে গুরবিন্দরকে। তিনি বলছিলেন, ‘‘আইলিগের শুরুতেই তো পুরো পয়েন্ট ঘরে তুলতে হবে। না হলে পিছিয়ে পড়বে দল। শেষের দিকে অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। ফিফটি-ফিফটি বলের জন্য কাউকে ঝাঁপাতে দেখলাম না। মেহতাব (সিংহ) আর হুয়ানকে ভাল লাগল। বাকিদের খেলা দেখে মনে হল খুব ক্লান্ত।’’ ভুল কিছু বলেননি গুরবিন্দর।
লুধিয়ানায় খেলতে যাওয়া নিয়ে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি লাল-হলুদ ফুটবলারদের। কোচ মেনেন্দেজ ও কাশিম আইদারা আগেই বিমানে পৌঁছে গিয়েছিলেন পঞ্জাবে। কিন্তু, দলের বাকিরা দিল্লি থেকে ট্রেন মিস করেন। তার পরে রাত আটটা নাগাদ ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের জন্য বাস ভাড়া করে আনা হয়। সেই বাসে চেপে কোলাডোরা যখন লুধিয়ানায় পৌঁছন তখন মধ্যরাত পেরিয়ে গিয়েছে। কোনও রকমে বিশ্রাম নিয়ে এ দিন নেমে পড়েন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। গুরবিন্দর বলছিলেন, ‘‘অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার জন্য অন্তত দিনদুয়েক আগে আসতে পারত ইস্টবেঙ্গল। আবহাওয়ার সঙ্গেও তো পরিচিত হতে হবে। শুনলাম ভোর রাতে হোটেলে পৌঁছেছে সবাই। ক্লান্ত শরীরে খেলতে নেমেছে। তাই নিজেদের সেরাটা তুলে ধরতে পারেনি।’’
লুধিয়ানায় স্টেডিয়ামে বসে ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখছেন গুরবিন্দর ও দীপক কুমার।
ঘরের মাঠে ড্র দিয়ে আই লিগ অভিযান শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই একই ফলাফল। এদিন পঞ্জাব এফসি-র ঘরের মাঠে গিয়ে কোনওরকমে হার বাঁচালেন হুয়ান-কোলাডোরা। লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান স্পেনীয় ফুটবলার হুয়ান মেরা গনজালেজ। তাঁর গোলেই এক পয়েন্ট নিয়ে পঞ্জাব ছাড়ছে ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন: ‘আজ নয়, বিরাট কোহালি ছোটবেলা থেকেই চেজমাস্টার’
১২ মিনিটে সেট পিস থেকে হেডে গোল করে পঞ্জাব এফসি-কে এগিয়ে দেন দানিলো। খেলার ৮৪ মিনিটে মেনেন্দেজকে নিশ্চিন্ত করেন হুয়ান। গুরবিন্দর বলছিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে পঞ্জাবে অনেকেই বলেন মর্গ্যান জমানাতে ভাল লাগত ক্লাবের খেলা। এখন আর সেই ঝাঁঝ নেই।’’ সমর্থকদের উদ্দেশে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার বলছেন, ‘‘ভেঙে পড়ার কিছু হয়নি। ইস্টবেঙ্গল নিশ্চয় ঘুরে দাঁড়াবে। তবে আজকে ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে আমার মন ভরল না।’’
আরও পড়ুন: উইলিয়ামসকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে বিরাট কোহালির এই ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy