পাল্টা দাপট ইস্টবেঙ্গলের অর্ণব নন্দী ও সুমন্ত গুপ্তর। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
এক দিকে এএন ঘোষ ফাইনালে জোড়া সেঞ্চুরির জবাবে জোড়া সেঞ্চুরি। অন্য দিকে, পি সেন ট্রফি খেলতে আইপিএলের দুই তারকার আগমন।
বুধবারের স্থানীয় ক্রিকেটে এই দু’টো ঘটনা ঘটে থাকল।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে, আগামী শুক্রবার পি সেন ট্রফিতে খেলতে দেখা যাবে পীযূষ চাওলা এবং মনদীপ সিংহকে। ওয়াইএমসিএ-র হয়ে খেলার কথা তাঁদের ঐক্য সম্মিলনীর বিরুদ্ধে। পীযূষ কেকেআরের সফল স্পিনারদের একজন। মনদীপ আবার বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দাপটে খেলেছেন আইপিএলে।
চাওলারা নেমে পড়লে পি সেনের আকর্ষণ বাড়বে সন্দেহ নেই। তবে এএন ঘোষ ট্রফির যুদ্ধকে ঘিরে আকর্ষণ স্থানীয়রাই বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কালীঘাটের জোড়া সেঞ্চুরির জবাবে ইস্টবেঙ্গল বুধবার প্রথম ইনিংসে তুলল ৪৪২। সেঞ্চুরি ওপেনার সুমন্ত গুপ্ত (১৪৯) ও অর্ণব নন্দীর (১০৭)। ফলে প্রথম দিন মনোজ তিওয়ারি আর শ্রীবৎস গোস্বামীর সেঞ্চুরিতে ৪৬৮ তোলার সুবিধে তেমন নেই। মনোজরা প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৬ রানে এগিয়ে।
উইকেট থেকে ব্যাটসম্যানরা সহজেই রান পাচ্ছেন। তাই ম্যাচটা এখনও তাঁদের দিকে আছে বলেই মনে করছে ইস্টবেঙ্গল শিবির। ‘‘সেমিফাইনালে টাউনের কাছে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে ছিলাম। তার পরও ম্যাচটা জিতেছি। তাই বলছি এখানে ম্যাচটা এখনও আমাদের হাতে আছে,’’ বলছিলেন অর্ণব। কত রানে কালীঘাটকে দ্বিতীয় ইনিংসে থামানো টার্গেট? আর এক সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান সুমন্ত বলেন, ‘‘২২০-২৫০-র মধ্যে কালীঘাটকে থামাতে পারলে ট্রফি জেতার সুযোগ আছে আমাদের।’’ ও দিকে কালীঘাট ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারিরও মনে হচ্ছে, ম্যাচ তাঁদের নিয়ন্ত্রণে। ‘‘ওরা খুব ভাল খেলেছে। তবে এখনও ম্যাচটা আমাদের দখলে আছে।’’
কিন্তু আরও একটা আশঙ্কা থাকছে। সেটা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের— প্রথম ইনিংসে ইস্টবেঙ্গল বোলাররা যে ভাবে ‘শাসিত’ হলেন তাতে ৪৫ ওভারে ২৫০ রানে আটকে রাখা যাবে প্রতিপক্ষকে? দিনের সেরা বোলার কালীঘাটের রাজকুমার পালের তিন উইকেট কিন্তু এল ৯৮ রান খরচ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy