ভয়ঙ্কর কলিন মুনরো। করলেন ৫৮ বলে অপরাজিত ১০৯। ধোনি পারলেন না জেতাতে। করলেন ৩৭ বলে ৪৯। ছবি: এএফপি, পিটিআই
রাজকোটের পাটা উইকেট সব সময়েই ব্যাটসম্যানদের কাছে স্বর্গ। শনিবার সেই রাজকোটে বিরাট কোহালির ভারতের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের রণনীতি ছিল, খুব সহজ।
এক, পাটা উইকেটে শুরুতে ব্যাট করে ভারতের কাঁধে বড় রান চাপিয়ে দাও। দুই, পাওয়ার প্লে-র পরের ওভার থেকেই আনো ইশ সোধিকে। তিন, ট্রেন্ট বোল্ট শুরু থেকেই আক্রমণ করুক ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। এ দিন এই তিন অঙ্কেই ৪০ রানে জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ করে ফেলল নিউজিল্যান্ড। আগামী মঙ্গলবার তাই শেষ ম্যাচটা অঘোষিত ফাইনাল হয়ে দাঁড়াল এখন।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৬ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গাপ্টিল (৪৫) ও কলিন মুনরো (ন.আ ১০৯) দাপটেই ব্যাট করে গেল। মুনরোর ইনিংসটা খুঁটিয়ে লক্ষ্য করলে দেখবেন, ওর অর্ধেকেরও বেশি রান এসেছে মিড উইকেট এবং লং অন অঞ্চল দিয়ে।
মুনরো এমনিতেই পায়ের দিকের বলে বেশ পোক্ত। বেচারা মহম্মদ সিরাজ! এ দিনই ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অভিষেক হল হায়দরাবাদের এই পেসারের। প্রথম ম্যাচ বলে সিরাজ নিজেও হয়তো চাপে ছিল। তাই বার বার মুনরোর শক্তির জায়গাতেই বল ফেলছিল। চার ওভারে তাই ৫৩ রান দিল সিরাজ। যেটা আগামী দিনে ওর কেরিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতেই পারে।
রাজকোটের পিচে ওভার প্রতি নয়ের বেশি আস্কিং রেট কখনও-ই খুব বেশি ছিল না। কিন্তু ভারত ১৫৬-৭ থেমে গেল বিপক্ষের দুই বোলারের বিরুদ্ধে পরিকল্পনাহীন ব্যাটিং করে। শুরুতে ট্রেন্ট বোল্ট। আর তার পরে ইশ সোধির সামনে।
দিল্লিতেই পরের দিকে সোধিকে (১-২৫) খেলতে গিয়ে সমস্যা হয়েছিল ভারতীয়দের। এ দিন তাই সোধিকে আগে এনে এনে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ডটা ভেঙে দেয় নিউজিল্যান্ড। তার আগেই ট্রেন্ট বোল্ট (৪-৩৪) ভারতের দুই ওপেনার শিখর ধবন (১) ও রোহিত শর্মা (৫)-কে আউট করে ব্যাটিংয়ের ঘাড়টা মটকে দিয়ে গিয়েছিল। রোহিত যে শুরুর দিকে বাঁ হাতি পেসারের বলে স্বস্তিতে থাকে না, তা বুঝে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বোল্ট সেই দুর্বলতায় আঘাত করছিল। যা সামলাতে না পেরে ব্যাকফুট ড্রাইভ করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড রোহিত।
রাজকোটের ম্যাচটা দেখে মনে হল, ধোনি ওর সেরা সময় পিছনে ফেলে এসেছে। ফিনিশার হিসেবে ওর গ্রাফ ক্রমশ নামছে। ৩৭ বলে ৪৯ রান করতে পারে। কিন্তু বোল্ট এ দিন ধোনিকে মারার কোনও জায়গা দেয়নি। বলগুলো শরীরের দিকে ঢুকিয়ে দিচ্ছিল। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ওটাই। ধোনি ওই সময় ডট বল বেশি খেলছে বলেই বিরাট কোহালি (৪২ বলে ৬৫ রান) আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট হল। ধোনি সত্যিই এখন আর পারছে না। আমি নির্বাচক হলে এখনই ধোনির বিকল্প পরখ করতাম। টি-টোয়েন্টিতে ধোনিকে দলে রাখা নিয়ে নির্বাচকদের ভাবার সময় এসেছে। ওকে বরং একদিনের ম্যাচেই দলে রাখা যেতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে নয়।
অন্য দিকে, ইশ সোধির গুগলি বুঝতেই পারছিল না ভারতীয় মিডল অর্ডার। হার্দিক পাণ্ড্য-কে কোটলায় লেগ মিডে বল ফেলে তা টার্ন করিয়ে কটবিহাইন্ড করেছিল। শুরুতে হার্দিক সামনে পা অনেকটা বাড়িয়ে ফরোয়ার্ড খেলে। তাই ওকে গুগলি দিয়েছিল। যার হদিশ না পেয়ে হার্দিক আউট হয় অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেটারের মতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy