প্রবল চাপে কানেরিয়া। —ফাইল চিত্র।
দশ বছর ধরে আয় নেই তাঁর। পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁকে নিতে নারাজ। পাকিস্তান সরকার ও পিসিবি-র কাছে অতীতে বহুবার সাহায্য চাইলেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তারা। জাভেদ মিয়াঁদাদের মতো প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে নিজের ইউটিউবে চ্যানেলে আবেগপ্রবণ দানিশ কানেরিয়া বললেন, ‘‘এ বার কি তবে আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে?’’ ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর এ হেন মন্তব্য শোনার পরে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেই বলছেন, ‘‘ওর (কানেরিয়া) চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে কষ্টের মধ্যে রয়েছে।’’ তাঁর দুরবস্থা দেখে কয়েকজন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার সমব্যথী হলেও মিয়াঁদাদের মতো তারকা ক্রিকেটার কিন্তু আক্রমণ করেছেন কানেরিয়াকে। মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘‘টাকার জন্য যা খুশি বলতে পারে কানেরিয়া।’’
মিয়াঁদাদের এ হেন মন্তব্যের পরেই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কানেরিয়া কারওর নাম না করে বলেছেন, ‘‘যাঁরা বলছেন আমার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য আমি সস্তাদরের প্রচার করছি, তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আমি নই শোয়েব আখতারই জাতীয় টেলিভিশনে বলেছে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হত পাকিস্তান দলে। আমার তো হাত-পা কেটে ফেলা হয়েছে। দশ বছর ধরে আমার কোনও চাকরি নেই। আমার পরিবার রয়েছে। কিন্তু আমার রোজগার নেই। আমি আত্মহত্যা করি এটাই কি চাও তোমরা?’’ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, মিয়াঁদাদকে উদ্দেশ্য করেই কানেরিয়া এই কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: সৌরভও খাবার এনে দিয়েছে আমাকে, দানিশ বিতর্কে মুখ খুলে বললেন ইনজামাম
শোয়েবের বিস্ফোরক দাবির পরে কানেরিয়া বলেছিলেন, জাতীয় দলে খেলার সময়ে যাঁরা তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি সেই সব ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ্যে আনবেন। কানেরিয়া অবশ্য এখনও কারওর নাম উচ্চারণ করেননি। ইউটিউব চ্যানেলে নির্বাসিত পাক ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘মানুষ বলছেন আমি পাকিস্তানের হয়ে দশ বছর খেলছি। আমি নিজের রক্ত ঝরিয়ে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছি। ক্রিকেট পিচে আমি রক্ত দিয়েছি। আঙুল দিয়ে রক্ত ঝরছে, তবুও দেশের হয়ে বোলিং করে গিয়েছি। যাঁরা দেশকে বিক্রি করে দিয়েছে, তাঁদের স্বাগত জানানো হচ্ছে। আমি কিন্তু নিজের দেশকে বিক্রি করে দিইনি।’’
কানেরিয়ার এমন দুরবস্থার কথা শুনে এ বার কি এগিয়ে আসবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান? পিসিবি-ও কি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে কানেরিয়ার দিকে? দিনকয়েকের মধ্যেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy