বিশ্বকাপে মোট ৪৮টি ম্যাচ হবে। বোর্ডের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মোট ১২টি শহরে ম্যাচগুলি হবে। — ফাইল চিত্র
এই বছরের শেষেই রয়েছে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। আগেই জানা গিয়েছিল প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে অক্টোবর থেকে। এ বার প্রকাশ্যে এল আরও কিছু তথ্য। সূত্রের দাবি, বিশ্বকাপের ফাইনাল হতে পারে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে, যা কিছুটা প্রত্যাশিতই। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল যেখানে হয়েছিল, মুম্বইয়ের সেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম একটি সেমিফাইনাল পেতে পারে।
বিশ্বকাপে মোট ৪৮টি ম্যাচ হবে। বোর্ডের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মোট ১২টি শহরে ম্যাচগুলি হবে। অর্থাৎ, প্রতিটি শহরে অন্তত চারটি করে ম্যাচ আয়োজন করা হবে। আমদাবাদে ফাইনাল হওয়া প্রায় নিশ্চিত। নতুন করে এই স্টেডিয়াম সাজিয়ে তোলার পর তার দর্শকসংখ্যা এক লাখের উপর করা হয়েছে। ফলে এখনকার সময়ে যে কোনও বড় প্রতিযোগিতার ফাইনাল বা উদ্বোধনী ম্যাচই করা হচ্ছে আমদাবাদে। এ বারের আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচও সেখানেই।
বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তান ভারতে আসবে কি না তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু যদি তারা রাজি হয়, তা হলে সেই মহারণ আয়োজন করার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে দিল্লি অথবা চেন্নাই। বোর্ড বা আইসিসি-র কর্তারা এখনও কোনও কিছুই নিশ্চিত ভাবে বলছেন না। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে এই দু’টি মাঠের নামই উঠে এসেছে। শেষ বার ভারতে বিশ্বকাপ হওয়ার সময় দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল সেমিফাইনালে। মোহালিতে হয়েছিল সেই ম্যাচ। এ বার গ্রুপেই মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি জানা যায়, বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে না-ও আসতে পারেন বাবর আজ়মরা। পাকিস্তানের ম্যাচগুলি হতে পারে বাংলাদেশে। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়। আইসিসির বৈঠকে এমন প্রস্তাবই দিতে পারে পাক ক্রিকেট বোর্ড। ভারত যে হেতু এশিয়া কাপ খেলতে সে দেশে যাবে না, তাই তারাও এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসতে চায় না। নিজেদের আপত্তির কথা আইসিসিকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন পাক কর্তারা।
দু’দেশের শীতল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রভাব থেকে মুক্ত নয় ক্রিকেটও। বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়। শুধুমাত্র আইসিসি বা বহুদলীয় প্রতিযোগিতাগুলিতে পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলে দু’দেশ। এ বার তা নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ আগামী এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। আবার আগামী এক দিনের বিশ্বকাপের আয়োজন ভারত। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ বলেছিলেন, এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারতীয় দল। প্রতিযোগিতা হবে নিরপেক্ষ কোনও দেশে। তা নিয়ে দু’দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে শুরু হয় চাপান-উতোর।
ভারতীয় বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সুর চড়িয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকেও অসন্তোষ গোপন করা হয়নি। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা প্রথম থেকেই সংযত ছিল। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার বাইরে কোনও মন্তব্য করা হয়নি বিসিসিআই কর্তাদের তরফে। ভারতীয় বোর্ডের অবস্থান জানার পর থেকে পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারাও এক দিনের বিশ্বকাপে ভারতে দল পাঠানো নিয়ে জটিল অবস্থান নিতে শুরু করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy