ওয়াসিম আক্রম। ফাইল ছবি।
এক দিনের ক্রিকেট মানে সময় নষ্ট। এক দিনের ক্রিকেট বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে দিন কয়েক আগে এমনই যুক্তি দিয়েছিলেন ওয়াসিম আক্রম। পাকিস্তানেরই আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক আক্রমকে মনে করিয়ে দিলেন, শুধু এক দিনের ক্রিকেটেই তাঁর ৫০০-র বেশি উইকেট রয়েছে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যুগে এক দিনের ক্রিকেটকে জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়ার কোনও অর্থ হয় না বলেই মনে করেন আক্রম। তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে সহমত নন পাকিস্তানেরই প্রাক্তন অধিনায়ক সলমন বাট। তাঁর মতে, এক দিনের ক্রিকেটের যথেষ্টই ভবিষ্যৎ রয়েছে। বাট বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ এক দিনের ক্রিকেট। কখনই চাইব না ৫০ ওভারের ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাক। অনেক ক্রিকেটারেরই দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে এই ধরনের ক্রিকেটে। একটা সময় পর্যন্ত এক দিনের ক্রিকেটে নিরিখেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ঠিক হত।’’
এই প্রসঙ্গেই আক্রমের বক্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করেছেন বাট। তিনি বলেছেন, ‘‘শুধু এক দিনের ক্রিকেটেই আক্রম ভাই ৫০২টি উইকেট নিয়েছেন। উনি কিংবদন্তি। ওঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। বিশ্বকাপে ওঁর দু’টি বল সকলেই আজীবন মনে রাখবে। ওই রকম বোলিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সম্ভব নয়। ২০ ওভারের ক্রিকেটে অত সময়ই পাওয়া যায় না। ওই দু’টো বলের জন্যই আক্রম ভাই বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন।’’
তিন ধরনের ক্রিকেটের মধ্যে অনেক ক্রিকেটারই এখন নিজের পছন্দ মতো বেছে নিচ্ছেন। এ নিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘অনেকেই পছন্দ করে নিচ্ছে। এক দিনের ক্রিকেট আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সব থেকে বড় পার্থক্য হল, ২০ ওভারের ক্রিকেটে লিগ হচ্ছে। লিগগুলোয় অনেক বেশি আয়ের সুযোগ রয়েছে। তাই অধিকাংশ ক্রিকেটারই টি-টোয়েন্টি খেলা ছাড়তে চাইছে না। এক দিনের প্রতিযোগিতাগুলি একটু বড় হয়। আয়ের সুযোগ কম। অনেকে ঠাসা ক্রিকেটের মধ্যে হাঁপিয়ে উঠছে। তাই এক দিনের ক্রিকেট থেকে অনেকেই অবসর নিচ্ছে। টি-টোয়েন্টি এবং টেস্টকে বেছে নিচ্ছে।’’
বাট মনে করেন তিন ধরনের ক্রিকেটই থাকা উচিত। তিন ধরনের ক্রিকেটেরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তিন ধরনের ক্রিকেটের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারলে সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই মত তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy